পেঁপে খাওয়ার পর সাধারণত বীজ ফেলে দেয়া হয়। অধিকাংশ মানুষই হয়তো জানি না পেঁপের ছোট কালো বীজ ভোজ্য। কালো বর্ণের এই বীজ উজ্জ্বল, ভেজা এবং এর বাইরে পাতলা স্তর রয়েছে। পেঁপের বীজ খাওয়ার ফলে অনেক রোগ নিরাময় হয়। স্বাস্থ্য এবং ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধে পেঁপের বীজের বিকল্প কিছু হয়না। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। এবার তাহলে পেঁপের বীজের উপকারিতা জেনে নেয়া যাক
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ : অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ হওয়ায় সীমিত পরিমাণে যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে স্ট্যাফিলোকক্কাস, সালমোনেলা টাইফ, সিউডোমোনাস অ্যারুগিনোসার মতো ব্যাকটেরিয়া এড়ানো সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে পেঁপে খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে পেঁপের বীজও অনেক উপকারী। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে শক্তি হ্রাস করে রক্তে চিনি শোষণ খুব অল্প পরিমাণে করে।
ত্বকের জন্য কার্যকর : ত্বকের সমস্যায় পেঁপের বীজ খুবই উপকারী। অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হওয়ায় এটি ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। চিবিয়ে খাওয়ায় ত্বকে বয়সের ছাপ এবং সূক্ষ্ম রেখা বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
হার্ট সুস্থ রাখে : হার্টজনিত যেকোনো সমস্যায় পেঁপের বীজ উপকারী। এর সঙ্গে প্যানাসিয়া হৃদপিণ্ডের সম্পর্কিত রোগ নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও হৃদয়কে সুরক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরকে ফ্রি র্যাডিওক্যালজনিত ক্ষতি থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ক্যানসার সমস্যা : মূল থেকে ক্যানসার পরিপূর্ণভাবে ঠিক করা সম্ভব না হলেও পেঁপের বীজ খাওয়ার ফলে শরীরকে ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত পেঁপের বীজ খাওয়ার ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সহায়তায় রোগকে ছড়িয়ে পড়তে বাধা প্রদান করে। এছাড়াও বীজে থাকা বিভিন্ন উপাদান আইসোথিয়োকানেট ক্যানসার কোষ গঠন এবং বিকাশ থেকে সুরক্ষা করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।bs