মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দেওয়াই যেন যথেষ্ট নয়, অনেকের পিঠেও বিরক্তিকর ব্রণের প্রকোপ দেখা দেয়।
পিঠে ব্রণ হলে দেখা না গেলেও- ব্রণের ব্যথা, চুলকানি ভাব ও দাগ কিন্তু রয়েই যায়। কেন পিঠে ব্রণের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং কী করা প্রয়োজন এই সমস্যাটিকে দূরে রাখতে- জানতে পড়ে নিন আজকের ফিচারটি।
নিত্য ব্যবহার্য পণ্য থেকে যাচ্ছে পিঠে
খুব সহজেই রোমকূপে প্রতিদিনের ব্যবহার্য শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সানস্ক্রিন, লোশন কিংবা ম্যাসাজ অয়েল আটকে যেতে পারে। বদ্ধ রোমকূপে থেকে সহজেই উপদ্রব ঘটে ব্রণের। পিঠ যেহেতু সেভাবে পরিষ্কার করা হয় না, তাই পিঠে বাড়তি পণ্য থেকে গিয়ে ব্রণ সৃষ্টি করে।
এমন সমস্যা এড়াতে চাইলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর তোয়ালে কিংবা গামছা দিয়ে পিঠ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া চেষ্টা করতে হবে চুলের গোছা সামনের দিকে নিয়ে এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে। এছাড়া লোশন, ময়েশ্চারাইজার কিংবা সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর মনে করে অবশ্যই পিঠ মুছে নিতে হবে।
পোশাকের বিষয়ে সচেতন নন আপনি
খুব বেশি টাইট ফিট শোপাক পরার ফলে ত্বকের রোমকূপ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাশাপাশি অপরিষ্কার জামা বারবার পরলে ত্বকের ময়লা রোমকূপের গভীরে গেথে যায়। যা থেকে প্রথমে ছোট ও লাল র্যাশ এবং পরবর্তিতে ব্রণ দেখা দেয়।
এক্ষেত্রে অবশ্যই পরিষ্কার জামা পরার অভ্যাস করতে হবে। পাশপাশি চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা জামা পরার জন্য। টাইট ফিট পোশাক স্বাস্থ্যের জন্যেও খুব একটা ভালো নয়।
সমস্যাটা যখন বংশগত
বংশগতভাবেই অনেকের ব্রণের সমস্যা থাকে। আপনার ব্রণের প্রাদুর্ভাব যদি বংশগত হয়ে থাকে, তবে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। তবে অবশ্যই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মে কোন ব্যতিক্রম করা যাবে না। ব্রণ খোঁচানোর অভ্যাস থাকলে না সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা বাধ্যতামূলক।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস
অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের ফলে শুধু মুখের ত্বকেই নয়, পিঠেও ব্রণ দেখা দেয়। খুব সহজ একটি বিষয় মনে রাখলেই যথেষ্ট। হৃদযন্ত্রের জন্য যে সকল খাবার উপকারি, ত্বকের জন্যেও তাই। তৈলাক্ত খাবার একইসাথে যমেওন হৃদযন্ত্রের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়, তেমনি ত্বকেরও বারোটা বাজিয়ে দেয়।
নিজেকে ও নিজের ত্বককে সুস্থ রাখতে চাইলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের কোন বিকল্প হতে পারে না। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার ও বাড়তি দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে যথাসাধ্য।
পিঠ পরিষ্কার হচ্ছে না ভালোভাবে
সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে খুব দারুণ একটা স্নান তো করা হলো, কিন্তু পিঠ কি পরিষ্কার করা হয়েছে? অনেকেই লোফাহ কিংবা স্পঞ্জ দিয়ে পিঠ পরিষ্কার করার প্রতি গুরুত্ব দেয় না একেবারেই। হাত কিংবা পা যেমন পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন, একইভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন পিঠ।
চুল থাকছে অপরিষ্কার
চুলের বিষয়ে উদাসীন হলে, চুলের নানাবিধ সমস্যার সঙ্গে লেজুড়ে সমস্যা হিসেবে দেখা দিবে পিঠে ব্রণের প্রাদুর্ভাব। চুল ও মাথার ত্বকের ময়লা শুধু পিঠে নয়, মুখের ত্বকের সংস্পর্শেও আসে। ফলে পিঠ ও মুখের ত্বকে চর্মরোগ ও ব্রণের প্রাদুর্ভাব হয়। এখানে আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই যে, চুলকে অবশ্যই নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।