গরমে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। এসময় ঘাম ও জীবাণুর কারণে ত্বকে চুলকানি দেখা দিয়। এতে ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু তাতে সাময়িক মুক্তি মেলে। ত্বকে চুলকানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে কিছু উপায় মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক—
চন্দনের ব্যবহার
রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার সম্পর্কে জানা আছে সবার। এই চন্দন কিন্তু ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ কমাতেও সমান কার্যকরী। সেজন্য চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে মেশাতে হবে গোলাপজল। এখন মিশ্রণের প্রলেপ দিতে হবে ত্বকের সংক্রমিত স্থানে। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস
ত্বকে চুলকানি হলে বার বার চুলকে তা বাড়িয়ে তুলবেন না। কারণ নখের মাধ্যমে ত্বকে আরও বেশি জীবাণু ছড়াতে পারে। ত্বকের চুলকানি দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন একটি মিশ্রণ। সেজন্য প্রথমে ১ চামচ করে বেকিং সোডা ও লেবুর রস নিয়ে একসঙ্গে মেশাতে হবে। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে ত্বকের চুলকানির স্থানি লাগিয়ে মিনিট দশেকের মতো অপেক্ষা করুন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলকানির সমস্যা অনেকটাই কমবে।
নারিকেল তেল
চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে নারিকেল তেল। শুধু তাই নয়, এটি ত্বক ভালো রাখতেও কার্যকরী। এই তেলের আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেশন ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এই দুই উপাদান ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চুলকানিসহ ত্বকের সংক্রমণজনিত অন্যান্য সমস্যায় নারকেল তেল উপকারী। তবে সেই নারিকেল তেল যেন খাঁটি হয়, সেদিকে নজর রাখবেন।
নিমপাতার পেস্ট
যেকোনো ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাজ করে নিমপাতা। তেতো স্বাদের এই পাতা খেলেও নানা উপকার মেলে। তবে ত্বকে চুলকানির সমস্যায়, এই পাতার পেস্ট ব্যবহার করলেই পাবেন উপকার। নিমপাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে উপকার মিলবে।