বয়স হলে চুল পাকে এ কথা আমরা সবাই জানি। তবে তরুণ বয়সে যদি এ সমস্যা দেখা যায়, তবে ভাবনাটা বেশি হয়। চুল পাকা সমস্যায় বংশগত বিষয় থাকলেও বেশির ভাগ সময় এর জন্য দায়ী দুশ্চিন্তা আর সঠিক পুষ্টির অভাব। আপনি চাইলেই বংশগত বিষয়টি দূর করতে পারবেন না কিন্তু খাবারের তালিকায় ভিটামিন এবং মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার রাখলে এ সমস্যা থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
চুল পাকা রোধে ৫ খাবারের তালিকা
আমলকী : আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্য পুষ্টিসমূহ। এই ফল নিয়মিত খেলে চুল পাকার সম্ভাবনা কমে যায়। সেই সঙ্গে চুল কম পড়ে। জলে আমলকী ভিজিয়ে রেখে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের রুক্ষতা কমবে এবং উজ্জ্বলতা ফিরবে।
কাজুবাদাম : হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণে চুলের রং বদলে যেতে পারে। ক্যাটালেজ নামক এনজাইমের লেভেল যদি কমে যায়, তখন এ সমস্যা দেখা দেয়। বয়স, দুশ্চিন্তা, অনিয়মিত খাবার এসব কারণেও এনজাইমের পরিমাণ কমে যেতে পারে। কাজুবাদাম শরীরের এই ক্যাটালেজ বাড়াতে সাহায্য করে। আর এতে কমে যায় চুল পাকার সম্ভাবনা।
ডার্ক চকলেট : শরীরে যদি আয়রন আর কপারের পরিমাণ কমে যায়, তাহলেও চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আর কপার, যা চুল পাকার সমস্যা রোধ করতে সক্ষম।
ডিম : ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর অ্যামিনো এসিড, যা চুল পাকা রোধে বিশেষ উপকারী। এ ছাড়া ডায়েটে ডিম খেলে বেশ অনেকটা সময় পেট ভর্তি থাকে। ক্ষুধা কম লাগে।
কমলালেবু : কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা কোলাজেন প্রোটিনের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই প্রোটিনের কারণে চুল সুস্থ থাকে। বিকেলের নাশতায় অথবা জুস হিসেবে আপনি কমলা খেতে পারেন। টক-মিষ্টি স্বাদের এই খাবার হজমেও বেশ সহায়ক।