বাচ্চার পরীক্ষার রেজ়াল্ট ভালো না হলে কি আপনি তাকে খুব বকাঝকা করেন? এক মিনিটের বিরতি নিন, ফিরে যান নিজের ছেলেবেলার দিনগুলিতে। আপনার পরীক্ষার ফল কি সব সময়ে দুর্দান্ত ভালো হত? ‘সায়েন্স অফ লার্নিং’ শীর্ষক একটি গবেষণা হয়েছিল লন্ডনের কিংস কলেজ আর অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে, সেখানেই জানা গিয়েছে যে সন্তানের শিক্ষাগত যোগ্যতার অন্তত 60 শতাংশই নির্ভর করে মা-বাবার জিনের উপর!
বহুদিন যাবৎ গবেষকদের ধারণা ছিল যে একটি বাচ্চা কতটা সুস্থ বা সে মানসিকভাবে কতটা আনন্দে আছে, তার উপর নির্ভর করে স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল। কিন্তু সেটি ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর রয়েছে মেধা নির্ধারণের জন্য এবং সে বিষয়ে আপনার সন্তানের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই! আপনি যত তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্থ করতে পারতেন ছেলেবেলায়, তার আশপাশেই থাকবে সন্তানের দক্ষতাও — এ তথ্য নিশ্চয়ই আপনার জানা ছিল না?
নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর পর গবেষকরা মা-বাবাদের জন্য কয়েকটি নির্দেশিকাও প্রস্তুত করেছেন। এক, খারাপ বা মাঝারি মানের ফলাফলের জন্য সন্তানকে বকাবকি করবেন না। তাকে দোষ দিয়েও কোনও লাভ নেই। দুই, তাদের ঘাড়ের উপর নিশ্বাস না ফেলে নিজেদের ইচ্ছেমতো লেখাপড়া করতে দিন, সব মানুষের শেখার পদ্ধতি এক হয় না। তিন, অতিরিক্ত উচ্চাশা পোষণ করবেন না। তাতে মানসিক অশান্তি বাড়ে। আর তার চেয়েও বড়ো কথা, জীবন অনেক বড়ো, স্রেফ স্কুলের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দিয়েই সন্তানকে বিচার করতে যাবেন না, বরং মানবিক গুণগুলির বিকাশে সাহায্য করুন।