আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা অফিসের প্রয়োজনে রোজই টাই পরেন। তে হয়। আবার এমনও অনেক মানুষ আছে, যারা কাজের প্রয়োজন ছাড়াও শুধুমাত্র শখেই নিত্যদিন টাই পরেন। কিন্তু তা সে শখই হোক, আর পেশার কারণেই হোক— টাই পরা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।
জার্মানির ‘ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার শেলসউইগ হোলস্টেন’-এর কয়েক জন গবেষক তাদের গবেষণাপত্রে দাবি করেছেন, নিয়মিত টাই পরার অভ্যাস শরীরে নানা রকম সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তার কারণ, টাই পরলে গলা দিয়ে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হয়। তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। এর ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে? গবেষকরা সেই তালিকা দিয়েছেন।
>> নিয়মিত টাই পরলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। পরিসংখ্যান বলছে, যারা দিনের মাথায় আট ঘণ্টা বা তার বেশি সময় টাই পরে থাকেন, তাদের মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের হার ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্ক থেকে দূষিত রক্ত দ্রুত শরীরের অন্যত্র প্রবাহিত হতে পারে না। তাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা স্লথ হয়ে যায়।
>> গবেষকদের দাবি, নিয়মিত আঁটসাঁট করে টাই পরলে চোখেও চাপ পড়ে। তাতে গ্লকোমার আশঙ্কা বাড়ে।
>> দেখা গিয়েছে, যারা ধূমপান করেন বা যাদের বয়স ৬০-এর উপরে তাদের ক্ষেত্রে টাই পরার ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। তাদের মস্তিষ্কে কোষের মৃত্যুর হার অন্যদের তুলনায় বেড়ে যায় টাই পরার কারণে।
>> আঁটোসাঁটো করে টাই পরলে রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকে। তাতে হৃদরোগ বা অন্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
যদিও গবেষকরা বলছেন, যারা খুব আঁটোসাঁটো করে টাই পরেন, তাদেরই এই সমস্যাগুলো বেশি মাত্রায় হয়। ঢিলে করে টাই পরলে ততটাও সমস্যা হয় না। যদিও অধিকাংশ সময়েই কাজের প্রয়োজনে টাই পরতে হলে বেশির ভাগ মানুষই বেশ আঁটোসাঁটো করেই টাই পরেন। এর ফলেই বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।