চিকিৎসকদের মতে, যকৃৎ বা লিভারে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় চর্বি থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু চর্বি সেই নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেশি হলেই তা ফ্যাটি লিভার বলে বিবেচিত হয়। যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয়।
অনিয়মিত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে এই রোগ হয়। এছাড়া ধূমপান আর মদ্যপানের কারণেও লিভারের এই সমস্যা দেখা যায়। সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি তিন জনের এক জন মানুষ ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আলাদা করে চেনা সত্যিই খুব কঠিন। তবে স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন ও ভালো ঘুম এই সমস্যাকে অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।
ফ্যাটি লিভার দুই ধরণের হয়ে থাকে, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এবং অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।
খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের ফলে লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’বলে।
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে যকৃৎ বা লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’বলে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস মেডিসিনের মতে, ফ্যাটি লিভার সারিয়ে তোলার নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। কিন্তু স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। পর্যাপ্ত জল খাওয়া, সময় মতো ঘুমনোর অভ্যেস করার পাশাপাশি আরো কিছু আয়ুর্বেদিক উপায়ে আপনার ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে সারিয়ে তুলতে পারেন।
>>সকলপ্রকার ফাস্ট ফুডকে জানাতে হবে বিদায়। এতে ক্যালোরি অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে কিন্তু শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থাকেই না।
>>খাদ্য তালিকায় নন-অ্যাসিডিক খাবার যুক্ত করতে হবে।যেমন – বেরি, নাশপাতি এবং তরমুজ রাখুন।
>>খাবারে শাক সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিভিন্ন মৌসুমের ভিন্ন সবজির পাশপাশি হলো-গ্রেইন, যেমন কুইনোয়াকেও তালিকাভুক্ত করতে পারেন।
>>ঠাণ্ডা পানীয় এক্ষেত্রে বেশ উপকারি। ঠাণ্ডা পানীয়ের তালিকায়- তরমুজের শরবত বা অ্যালোভেরার শরবত রাখতে পারেন।
>>দুই গ্রাম গোলমরিচ গুড়া ও এক চামচ মধুর মিশ্রণ, একমাস ধরে নিয়মিত খেলে অনেকটা উপকারিতা পাওয়া যাবে।
>>প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ মিলি আমলার রস পান করুন।
>> এক থেকে দুই গ্রাম কাতকি পাউডার, দিনে দুই বার, খাবার পরে জলে মিশিয়ে পান করতে হবে।