বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন মদপান এবং ধুমপান করলেই বুঝি শুধু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু আপনি প্রতিদিন খাচ্ছেন এমন কিছু খাবারও আপনার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চাইলে আজই এই খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৬টি খাবারের কথা।
১. মাইক্রোওয়েভে তৈরি পপকর্ন
এ খাবার খাওয়ার অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। টিভির পর্দায় চোখ রেখে অথবা সিনেমা হলে হাতে পপকর্ন থাকলে ভালই সময় কেটে যায়। আর মাইক্রোওয়েভে তা বানানোও বেশ সোজা। প্যাকেট কেটে টাইম অনুযায়ী মাইক্রোওয়েভ অন করে দিলেই হল। তবে এই পপকর্ন দেখতে যতটা সুন্দর আর খেতে যতটা সুস্বাদু শরীরের পক্ষে এটি ততটাই ক্ষতিকর। এতে ফুসফুসে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে অল্প তেলে গ্যাসে পপকর্ন বানিয়ে নিলে কোনো সমস্যা হবে না।
২. ক্যানজাত খাবার
টিনের ক্যানে যেসব খাবার কিনতে পাওয়া যায় তা নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। টিনের পাত্রে বিসফেনল-এ বা বিপিএ থাকাতেই শরীর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৩. রিফাইন্ড সুগার
যদি ভেবে থাকেন ব্রাউন অথবা রিফাইন্ড সুগার কিউব বেশি স্বাস্থ্যকর, তাহলে ভুল করছেন। কারণ এতে সুন্দর রং ও গন্ধ আনার জন্য মেশানো হয় এক ধরনের গুড়। তাই রিফাইন্ড সুগার এড়িয়ে চলুন। বরং মধু অথবা বাজারে বিক্রি সাধারণ চিনি খেতেই পারেন।
৪. কার্বোনেটেড কোমল পানীয়
দোকান থেকে ঠাণ্ডা পানীয় কিনে পান করার অভ্যেস অনেকেরই। কিন্তু খাবার তালিকা থেকে এটি বাদ রাখাই ভাল। এতে বেশি পরিমাণ কর্ন সিরাপ ও কেমিক্যাল থাকায় নরম পানীয় শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কার্বোনেটেড পানীয় দূরে রাখলে দূরে থাকবে ক্যান্সারও।
৫. ডায়েট ফুড
যে সব খাবারের প্যাকেটে ডায়েট শব্দটির উল্লেখ থাকে, তা দেখেই দুর্বল হয়ে পড়বেন না। তাকে স্বাস্থ্যকর ভাবারও কোনো কারণ নেই। সাধারণ খাবারের থেকেও অনেক সময় এই খাবার বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করলেও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যা ক্যান্সারের অন্যতম কারণও হতে পারে।
৬. ভাজাভুজি খাবার
চিপস আর স্ন্যাকসের প্যাকেটগুলো আপনাকে যেন চুম্বকের মতো টানে। নিজেকে সামলে নেওয়াই ভাল। আসলে এসব খাবারের গোড়াতেই গলদ। বেশ অস্বাস্থ্যকরভাবেই এর প্রস্তুতি হয়। আর সেখানেই লুকিয়ে রোগ। তাই লোভ সংবরণই শ্রেয়।