এক গবেষণায় বলা হয়, রাতে যথেষ্ট ঘুম না হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর বিঘ্নিত ঘুম। আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন-এর একদল গবেষক এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তারা ৬২ জন নারী-পুরুষের ৩টি দল গঠন করে পরীক্ষা চালান। একটি দলের সবাইকে ঘুমের সময় জোর করে জাগিয়ে রাখতে বাধ্য করা হয়। দ্বিতীয় দল দেরি করে ঘুমাতে যায়। আর তৃতীয় দলটি নির্বিঘ্নে ঘুমানোর সুযোগ পায়।
টানা তিন দিন ধরে একই প্রক্রিয়ায় ঘুমানোর ব্যবস্থা হয় তিনটি দলের। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্লিপ’ জার্নালে।
ফলাফলে দেখা যায়, যে দলের সদস্যদের ঘুমে বাধা দেওয়া হয়েছিল তাদের ইতিবাচক মানসিকতা প্রথম রাতেই নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয় রাতেই তা ৩১ শতাংশে নেমে আসে।
আর যে দল একটি দেরি করে ঘুমাতে যায় এবং ঝামেলাবিহীন ঘুম দিতে সক্ষম হয়, তাদেরও ঘুমের অভাবে ইতিবাচক মনোভাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় রাতের পর তাদের ইতিবাচক মানসিকতা ১২ শতাংশ নেমে আসে।
গবেষকরা আরো দেখেন, খুব কম ঘুম অথবা ধীর-তরঙ্গের ঘুমে মানসিকতা নষ্ট হয়। তবে বাধাগ্রস্ত ঘুমে প্রাণশক্তি যথেষ্ট পরিমাণ কমে যায় এবং মানুষ মানসিকভাবে নিজেকে বিধ্বস্ত মনে করে।