প্রতিবার বর্ষা এলেই বড়ো সমস্যায় পড়ে আপনার প্রিয় পোষ্যটিও৷ মুখে বলতে পারে না বলে তাদের প্রতি আরও বেশি করে নজর দেওয়া উচিত, কারণ আপনি অসতর্ক হলে তার কষ্ট আরও বাড়বে৷ গা থেকে বাজে গন্ধ ছড়াবে, পোকা হবে৷ কিন্তু আপনি যদি কয়েকটি টিপস মেনে চলেন, তা হলে সমস্যা এড়াতে পারবেন সহজেই!
কুকুর/বিড়ালের গা মুছুন শুকনো করে: প্রতিবার বাইরে থেকে বেরিয়ে আসার পর বা বৃষ্টির জলে ভেজার পর পোষ্য বাড়িতে ফিরে এলে তার গা মুছে দিন শুকনো তোয়ালে দিয়ে৷ যদি আপনার পোষ্য রোমশ হয়, তা হলে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে৷ আর্দ্রতা রোমের গোড়ায় বসে গেলেই স্যাঁতসেঁতে গন্ধ ছাড়বে, চুলকানি হবে ত্বকে৷ গা মোছার সময় খেয়াল রাখবেন কানের দিকেও, কানের প্রতিটি ভাঁজ-খাঁজ একেবারে শুকনো করে মুছে দেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়৷ যে সব কুকুরের লম্বা কান, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি যত্নশীল হওয়া আবশ্যক৷ নতুবা জল বসে কানে ইনফেকশন হবে৷ লাগাতার বৃষ্টি হতে থাকলে স্নান না করিয়ে গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিয়ে গা মুছিয়ে দিন, ড্রাই বাথও ব্যবহার করতে পারেন৷ যে সব কুকুর বা বিড়ালের রোম লম্বা হয়, তাদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন স্নান যথেষ্ট৷ পায়ের থাবার ফাঁকে যেন জল না জমে থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷
পোকা নিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন: গায়ে পোকা দেখতে পেলে স্নান করানোর সময় অ্যান্টি-টিক শ্যাম্পু ব্যবহার করাটা একান্ত আবশ্যক৷ না হলে অ্যান্টি-সেপটিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন৷ পোকা নিরোধক কলারও কিনতে পাওয়া যায়, সেটাও ট্রাই করে দেখতে পারেন৷ তবে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে সব সময়ে, দিনে অন্তত দু’বার ভালো করে রোম আঁচড়ে দিন৷
ডি-ওয়ার্মিং আর ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে যত্নশীল হোন: কোনও পরিস্থিতিতেই পোষ্যের ডি-ওয়ার্মিং আর ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে গাফিলতি করবেন না৷ ইমিউনাইজ়েশন শেডিউল মেনে চলুন৷ তাতে আপনার পোষ্য ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠবে, ছোটখাটো ইনফেকশন তাকে বিব্রত করতে পারবে না৷ নিয়মিত নখ কাটা, দাঁত পরিষ্কার করাও প্রয়োজনীয়৷ নিয়মিত গ্রুমিং সেশনে নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়৷
ঘরের ভিতরেই এক্সারসাইজ়ের ব্যবস্থা করুন: যদি লাগাতার বৃষ্টি পড়তে থাকে, তা হলে পোষ্যটিকে নিয়ে বাইরে না বেরিয়ে ঘরের ভিতরেই ব্যায়াম করানোর বন্দোবস্ত করুন৷ বৃষ্টিতে ভেজার চেয়ে ঘরে খেলাধুলো করলে তার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷ মনে রাখবেন, বেশি বৃষ্টিতে ভিজলে কুকুরের গায়ে চুলকানি বাড়ে, বিড়ালের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়৷
খেয়াল রাখুন পোষ্যের ডায়েট আর ওজনের প্রতি: পোষ্যের ডায়েট যদি পুষ্টিকর হয়, তা হলে তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যই ভালো থাকে৷ ঝলমল করে রোম, চোখের দৃষ্টি হয় পরিষ্কার, বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা৷ তাই পোষ্যকে সেরা ডায়েট দিন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে৷ পানীয় জল যেন পরিশ্রুত হয়৷ পোষ্যের ওজনের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখুন৷ ওজন বাড়লেই হার্টের উপর বাড়তি চাপ পড়ে, হাড়ের জোড়ের জায়গাগুলি ক্রমশ দুর্বল হতে আরম্ভ করে৷