চিনি খেলে কী কী হয়? এড়িয়ে না গিয়ে বিস্তারে পড়ুন

চিনি ছাড়া চা যেমন মুখে রুচে না কারো, ঠিক তেমনই চিনি ছাড়া খাবারের স্বাদও বাড়ে না। মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলে ছোট-বড় কারো মনেই প্রশান্তি আসে না। তবে চিনি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা জেনেও অনেকেই মানতে চান না।

আপনি প্রতিদিন কতটুকু শর্করা বা চিনি খাদ্যের সঙ্গে গ্রহণ করছেন সে বিষয়ে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, লিক্যুইড চিনি বা সিরাপও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

এমনকি কোমল পানীয় থেকে শুরু করে ফ্রুট জুসগুলো থাকে চিনিতে পরিপূর্ণ। গরমে এসব খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক চিনি খেলে কী কী হয়?

চিনি গ্রহণের পর তা প্রথমে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় ও পরে দেহে শক্তি উত্পাদন করে। যখন দেহে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি গ্রহণ করা হয়, তখন তা দেহের জন্য উপকারী না হয়ে বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

চিনি খেলে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। যদি আপনি প্রচুর পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় পান করেন তাহল ওজন খুব দ্রুত বেড়ে যায়। তাই ওজন কমাতে চাইলে এসব খাওয়া বাদ দিন।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় লিক্যুয়িড সুগার। তবে তা আপনার হৃদয়ের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আপনার স্থূলতা ও খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও দ্বিগুন বাড়ায় চিনি।

একদিনে কতটুকু চিনি খাওয়া উচিত?

একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাবার থেকে আসা ক্যালোরির ১০ শতাংশ চিনি থাকতে পারে। এর বেশি নয়। যেমন ধরুন- আপনি যদি সারা দিনে ২০০০ ক্যালোরির খাবার খান, তার মধ্যে ৩০ বা ৪০ গ্রাম বা ১০ চা চামচ চিনি খেতে পারবেন প্রতিদিন।

৪-১০ বছর পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে ১৯-২৪ গ্রামের বেশি চিনি রাখা যাবে না। সাদা বা লিকুইড চিনি খাবেন না। ভেষজ মিষ্টান্ন বা বাদামি চিনি ব্যবহার করতে পারেন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy