সুস্থ-সবল থাকতে নিত্য শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তবে ভালো জিনিসও অতিরিক্ত হলে যেমন বিপজ্জনক হতে পারে, এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়। এখন দেখা যাচ্ছে, শুধু বয়স্করাই নয়, অল্প বয়সীরাও নিত্য জিম বা অনেক বেশি ওয়ার্কআউট, মর্নিং ওয়ার্ক করছেন, এতে তাদের পরবর্তীকালে ‘ওয়ার্কআউট ইনজিউরি’র প্রবণতা বাড়ছে। তাই কিছু ব্যাপারে সতর্ক হতেই হবে।
কেন ক্ষতি হয় জানেন?
প্রত্যেকের শরীরের গঠন, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী কার কতটা এক্সারসাইজ করা উচিত সেটা নির্ভর করে। না হলে এক্সাসাইজের সময় পেশিতে পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো না হলে পেশির ক্ষতি হতে পারে।
আবার বেশিমাত্রায় রক্ত প্রভাব হলে তাও পেশির জন্য ভাল নয়। ‘হাইপারট্রফিক মাসল’ হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে পেশির অতিরিক্ত পরিশ্রম হওয়ার ফলে মাসল ফাইবার বা পেশিতে উপস্থিত তন্তু অতিরিক্ত চাপে ছিঁড়ে যায়। তাই পেশিতে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ঠিক বজায় রাখা জরুরি।
লিগামেন্টে বেশি চাপ পড়ে লিগামেন্টও ছিড়ে যেতে পারে। তাই শরীরের ওজন অনুযায়ী একজনের কতটা এক্সারসাইজ বা ওয়ার্কআউট দরকার সেটা হিসেব করে নিয়ে সেই মতো এক্সারসাইজ করা উচিত। জিম ট্রেইনার বা এক্সারসাইজ এক্সপার্টরা তা নির্ণয় করে বলে দিতে পারেন।
যা করবেন না
>শরীরের কোনও অংশে ব্যথা হলে সেই অবস্থায় কখনই এক্সারসাইজ বা জিম নয়।
>জোর করে এক্সারসাইজ করতে গেলে পেশিতে বা হাড়ে অতিরিক্ত চাপ পড়ার ফলে বড়সড় ড্যামেজ হয়ে যায়।
>লিগামেন্ট ইনজিউরি হলে পেইন ম্যানেজমেন্ট বা থেরাপি করিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব।
>হাঁটা বা ট্রেড মিলের ক্ষেত্রে ততটুকুই হাঁটা উচিত যতক্ষণ পর্যন্ত পায়ে না লাগছে। পায়ে লাগতে শুরু করার পরও জোর করে হাঁটতে থাকলে তা থেকে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
>প্রথম শুরু করার পর একটু-একটু করে এক্সারসাইজের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দ্রুত বেশি চাপ নেওয়া চলবে না।
বিএমআই মাপুন
বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) = ওজন (কেজি) / উচ্চতা (মিটার)
বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে থাকলে আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের অনুপাতে ঠিক আছে। এর বেশি হলে সেই মতো এক্সারসাইজ করুন।bs