অনেকেরই বাগানের শখ আছে। কিন্তু ফ্ল্যাটবাড়িতে চাইলেই মনের মতো বাগান করা যায় না। তারপরও অনেকে চান বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় থাকুক এক চিলতে বাগান। শখ মেটাতে তাই কেউ কেউ সেই বাগানে টুকটাক মৌসুমি ফুল, বাহারি পাতার গাছ লাগান। এখন আবার অনেকে ছাদে বা বাগানে সবজিও লাগান। তবে যেকোনও জায়গাতেই হুট করে এমন সবজি বা কিচেন গার্ডেন তৈরি করবেন না। এজন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. এমন জায়গায় কিচেন গার্ডেন তৈরি করুন, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ আসে। কারণ, কিচেন গার্ডেনের ক্ষেত্রে রোদ অত্যন্ত জরুরি।
২. যেখানে কিচেন গার্ডেন তৈরি করছেন সেখানে জল দেওয়ার ও নিস্কাশন ব্যবস্থা যেন ঠিক থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। না হলে গাছগুলো বাঁচানো যাবে না।
৩. কিচেন গার্ডেনের ক্ষেত্রে মাটি ও সার অত্যন্ত জরুরি। মাটি তৈরির সময়ই খেয়াল রাখতে হবে সার ও মাটির সঠিক অনুপাত।
৪. নিম খোল, মিশ্র জৈব সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। মাঝে মাঝে মাটি খুঁড়ে দিতে হবে, যাতে মাটিতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
৫. টব বাছার বিষয়টিও খেয়াল রাখুন। কারণ, সব সবজির জন্য কিন্তু একই মাপের টব একেবারেই চলবে না। চার থেকে পাঁচ ইঞ্চির টবে ধনে পাতা, পুদিনা পাতা এই ধরনের গাছ হয়। আবার টমেটো, বেগুন, মরিচ, ক্যাপসিকাম, লেবু, পার্সলেও লাগানো যায়। কম জায়গা থাকলে একটি বড় ধরনের পাত্রে একাধিক গাছ লাগানো যায়। বেগুন গাছ ও বিন গাছ, টমেটো গাছ ও পেঁয়াজ গাছ, গাজর আর স্কোয়াস এক সঙ্গে লাগাতে পারেন। ইদানিং চিনা মাটির, ফাইবার বা প্লাস্টিকের টব পাওয়া যায়। চাইলে সবজি ফলাতে এসবও ব্যবহার করতে পারেন।
৬. কিচেন গার্ডেনের ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। গাছগুলোতে যেন পোকা-মাকড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে নার্সারিতে গিয়ে আলোচনা করুন।