মস্তিষ্ক ঠিক থাকলে সব কিছু ঠিক থাকে। কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ এই মস্তিষ্কের সুরক্ষা নিয়ে কেউ খুব একটা ভাবেন না। শরীর ঠিক রাখতে আমরা যেমন ব্যায়াম করি, সঠিক খাবার খাই তেমনি মস্তিষ্ক ঠিক রাখতেও কিছু কাজ রয়েছে। সেটি না করলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা।
দূরত্ব মাপার একক হচ্ছে ফুট, মিটার, কিলোমিটার। তরল পদার্থ মাপতে হয় লিটারে। জিনিসপত্রের ওজন মাপা হয় কেজিতে। ঠিক তেমনি মানুষের বুদ্ধি মাপারও একটা পদ্ধতি আছে। ইংরেজিতে এটাকে বলা হয় আইকিউ (ইন্টেলিজেন্স কিউওটিএন্ট) বাংলায় যার নাম বুদ্ধিমত্তা। আন্তর্জাতিক এক জরিপে জানা গেছে, বিশ্বের মোট জনগণের মাত্র ২ শতাংশ মানুষ আইকিউ ওয়ার্ল্ড টেস্টে ১৩০-র উপরে নম্বর পান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইকিউ এর মাত্রা কমানোর জন্য মানুষ নিজেই দায়ী। কারণ তারা প্রতিদিন এমন সব কাজ করে যা বুদ্ধিমত্তা কমাতে ভূমিকা রাখে।যেমন-
১. একসঙ্গে অনেক কাজ করা: অনেকের মধ্যে এই ভাবনাটা কাজ করে যে একসঙ্গে দুই বা তারচেয়ে বেশি কাজ করতে পারা একটা ভাল একটা বিষয়। কিন্তু এটা ঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এক সময়ে একটি কাজই করেন, তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা যারা একসঙ্গে অনেক কাজ করতে যান তাদের তুলনায় বেশি।
২. পরোক্ষভাবে ধূমপান করা: অনেকে ধূমপান না করেও ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে বুদ্ধিমত্তা হারাতে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় জানা গেছে, যেসব শিশু পরোক্ষভাবে ধূমপান করছে তাদের চেয়ে অন্য শিশুদের আইকিউ বেশি।
৩. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া: চিনি শুধু মেদই বাড়ায় না মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা প্রায় ৬ সপ্তাহ চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া হলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় । সেই সঙ্গে কোনও কিছু শেখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
৪. মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে তা শুধু মানসিক শান্তিই কেড়ে নেয় না, মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। ধীরে ধীরে লোপ পায় বুদ্ধিমত্তা।
৫. স্থূলতা: স্থূলতা শুধু শারীরিক সমস্যায়ই বাড়ায় না,মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্য বয়সের পর যারা মোটা হয়ে যান তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।