চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় থাকেন। বিশেষ করে যাদের চুল পড়ার পরিমাণ বেশি; তারা বেশি আতঙ্গে থাকেন। কখন আবার টাক হয়ে যাবেন, এই ভেবে!
চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে যেমন চুল পড়তে পারে আবার বিভিন্ন কেমিকেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলেও চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে।
এ ছাড়াও বয়সের উপর নির্ভর করেও চুলের ঘনত্ব কমে থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পুরুষেরই চুল পাতলা হতে থাকে। তবে যা-ই হোক না কেন, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে চুল মজবুত রাখা সম্ভব।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ৩টি খাবার রাখলেই চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান ঘটবে। পাশাপাশি টাক পড়াও আটকাবে এই খাবারগুলো। জেনে নিন সেগুলো-
কাঠবাদাম: এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন নামক যৌগ আছে। এটি চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং চুল ওঠা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৮-১০টি কাঠবাদাম সকালে খালি পেটে খেলে টাক পড়ার গতি কমবে।
ডিম: ডিমেও বায়োটিন বা ভিটামিন বি-৭ প্রচুর পরিমাণে আছে। যাদের মাথায় চুল কম বা চুল পড়ে যাচ্ছে; তাদের জন্য ডিম সবচেয়ে আদর্শ খাবার।
নিয়মিত ডিম খেলে উপকার পাবেন। এ ছাড়াও ডিমে প্রচুর প্রোটিনও রয়েছে। এটি চুলের বৃদ্ধি এবং গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে নিয়মিত খেতে পারেন স্ট্রবেরি। এক স্ট্রবেরির হাজারো গুণ আছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এ ছাড়াও এতে আছে প্রচুর উপকারী সিলিকা।
চুলের বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান এটি। নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এ ছাড়াও স্ট্রবেরিতে এলাজিক অ্যাসিড আছে, যা চুল পড়া বন্ধ করে।
সামুদ্রিক মাছ: টুনা, ম্যাকেরেল, স্যালমন, হেরিং মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন ডি’সহ প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। সামুদ্রিক এসব মাছে থাকে প্রোটিন, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন বি এর ভালো উত্স।
২০১৭ সালে প্রকাশিত ডার্মাটোলজির প্রাকটিকেল এবং কনসেপ্টুয়াল নিবন্ধ অনুসারে, এসব পুষ্টি উপাদানসমূহ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
পালং শাক: ভিটামিন এ, আয়রন, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি আছে এই শাকে। চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে এসব উপাদান। এক কাপ রান্না করা পালং শাকে থাকে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন।
যা চুলের ঘনত্ব বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শরীরে আয়রনের অভাব হলো বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ পুষ্টির ঘাটতি। চুল পড়ার অন্যতম এক কারণ হলো এটি।