সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে একটু পকোড়া। বা বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির সঙ্গে বেগুনি। ভাজাভুজি কিন্তু আমজনতার নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু আপনি কি জানেন, তৈলাক্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্সফ্যাট, লবণ এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এদিকে এগুলিতে ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল খুবই কম থাকে।
এর ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। কিন্তু তেলে ভাজা খাবার খেতে প্রায় সকলেই পছন্দ করেন। এদিকে সকলেই মেদ, ভুঁড়ি থেকে দূরে থাকতে চান।
তাহলে কি সব তেলে ভাজা খাওয়া ছেড়ে দেবেন?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, তেলেভাজা খাবার না খাওয়াই আদর্শ অপশন। কিন্তু সেটা আর ক’জন পারেন? তাছাড়া তেলেভাজা খাবার খাওয়া ছেড়ে দিলে তো জীবনের মজাটাই ফিকে!
সেক্ষেত্রে উপায়? পুষ্টিবিদদের মতে, সম্পূর্ণভাবে তেলে ভাজা খাবার ছাড়তে হবে না। তবে মেনে চলুন কিছু নিয়ম।
কী সেই নিয়ম? জেনে নিন এক নজরে-
➤ প্রথমত, চেষ্টা করুন সপ্তাহে এক দিনের বেশি তেলে ভাজা খাবার না খাওয়ার।
➤ তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার পরেই অনেকেই চা-কফি, কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করেন। সেটা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তাতে শরীরের কিছুটা কম ক্যালোরি প্রবেশ করবে। হজম করাও সহজ হবে। বরং তেলে ভাজা খাওয়ার পর সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
➤ যেদিন তেলেভাজা খাচ্ছেন, সেদিন অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কিছুটা কম রাখুন। অর্থাত্, ধরুন ডাল-ভাতের সঙ্গে বেগুনি খাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ভাতের পরিমাণটা কমিয়ে দিন। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কিছুটা ব্যালেন্স হবে।
➤ আরও একটা ভাল অভ্যাস হল স্যালাড খাওয়া। ফিশ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, বার্গার ইত্যাদির সঙ্গে ফ্রেঞ্চফ্রাই এড়িয়ে যান। বরং বেশি করে স্যালাড দিয়ে খান। এতে ফাইবারের প্রয়োজনীয়তাও মিটবে।
➤ যেদিন তেলে ভাজা খাবার খাচ্ছেন, সেদিন একটু বেশি কায়িক পরিশ্রম করে নিন। সেটা জিমে কয়েক সেট বেশি ব্যায়াম করা হতে পারে, আবার লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন। নিয়মিত এই নিয়মগুলি মানলে অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ হয়ে যাবে।