চুল পড়ার সমস্যা এড়াতে কিছু টোটকা জেনে নিতে পারেন

নিম পাতার গুণাগুণকে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহারের জন্য নিম তেলের ব্যবহার সবচেয়ে ভালো উপায়। নিম পাতার বিশুদ্ধ রস থেকে তৈরি করা নিম তেল ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাকে কমায় ও ক্ষেত্র বিশেষে দূর করতেও কাজ করে।

নিয়মিত মেকআপ করা হলে কিংবা শীতকালীন আবহাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ত্বকের সমস্যা বৃদ্ধি পেলে বিচলিত না হয়ে নিম তেলের খোঁজ করতে হবে। তবে নিম তেল মুখের ত্বকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কোনভাবেই নিম তেল সরাসরি মুখে ব্যবহার করা যাবে না। ল্যাভেন্ডার অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে এরপর ব্যবহার করতে হবে।

ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে নিম তেলে থাকা অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড, ট্রাই-গ্লিসারাইড, ভিটামিন-ই ও ক্যালসিয়াম ত্বকের শুষ্কতাকে দূর করতে কাজ করে।

প্রাকৃতিক টোনারের কাজ করে
নিয়মিত মেকআপের ফলে ত্বকের ক্ষতি হবার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেকটা। সেক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে নিম তেলের ব্যবহার হতে পারে চমৎকার সমাধান। নিম তেল ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন উপাদানকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের ভেতরের সুস্থতা বজায় থাকে ও মেকআপ ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা।

কমে যায় ত্বকের বয়স
সময়ের সঙ্গে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। তবে সঠিক বয়সের আগেই আবহাওয়াজনিত সমস্যা ও অনিয়মের জন্য ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা দেয়। ত্বকের বয়সের লাগাম টানতে নিয়মিত নিম তেলের ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। গোসলের পর কয়েক ফোঁটা নিম তেল পুরো মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতে ত্বকের বলিরেখা দেখা দেয়া কমতে শুরু করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়
নিম তেলের ব্যবহারে ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। যার প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে অল্প সময়ের মাঝেই।

ধরে রাখে ত্বকের আর্দ্রতা
শীতকালে ত্বকের নানাবিধ সমস্যার মাঝে শুষ্কতার সমস্যাটি বেড়ে যায় সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে যাদের ত্বকের ধরণ শুষ্ক, তাদের সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। শুষ্কতা কমিয়ে ত্বকের আর্দ্রতাভাব ধরা রাখতে ময়েশ্চারাইজার কিংবা অন্যান্য তেল ব্যবহারের চাইতে নিম তেলের ব্যবহার বেশি কার্যকরি। ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন এক চা চামচ নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নিম তেল মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।

কমায় ব্রণের প্রকোপ
প্রাকৃতিক এই তেলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান মুখের ত্বকের সংক্রমনের সম্ভবনা কমায়। যার দরুন ব্রণ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা। ব্রণের প্রকোপ কমাতে কয়েক ফোঁটা নিম তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy