>> গ্যাস্ট্রিকের কারণেও ঘুমের মধ্যে শরীর ঘামতে পারে। যদিও এ বিষয়ে তেমন কোনো গবেষণা নেই, তবে চিকিৎসকরা বলছেন এর সঙ্গে সম্ভাব্য সংযোগ আছে। তাই ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগেই ডিনার সম্পন্ন করুন। আর ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন।
>> বিভিন্ন ক্যানসারের কারণেও রাতে ঘাম হতে পারে। তবে সবচেয়ে সাধারণ হলো লিম্ফোমা। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কিছু অংশে শুরু হয়, যেমন- লিম্ফ নোড, প্লীহা, অস্থি মজ্জা ও থাইমাস। হজকিনের লিম্ফোমায় আক্রান্ত প্রায় এক-চতুর্থাংশ রোগীর রাতে ঘাম হয়।
>> যক্ষ্মায় যারা ভোগেন তাদের প্রায় অর্ধেকেরই রাতে ঘাম হয়। এক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে বাসা বাঁধে। যক্ষা গুরুতর পর্যায়ে গেলে কাশির সঙ্গে রক্ত ও রঙিন কফ বের হতে পারে। এছাড়া আপনি জ্বর, ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করবেন। যক্ষার রোগীরা ক্ষুধামন্দায় ভোগেন।
>> প্রোস্টেট ক্যানসার, কিডনি ক্যানসার, ডিম্বাশয় ও অণ্ডকোষের কিছু টিউমারের কারণে রাতে ঘাম হতে পারে। রাতের ঘাম কার্সিনয়েড সিন্ড্রোমের একটি ক্লাসিক উপসর্গ। এটি একটি বিরল ক্যানসারের প্রভাব। যা সাধারণত আপনার পাচনতন্ত্র বা ফুসফুসে পাওয়া যায়।
>> বিভিন্ন সংক্রমণের কারণেও রাতে ঘাম হতে পারে। করোনার ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও রাতে প্রচণ্ড ঘেমে ওঠার উপসর্গ টের পেয়েছেন। কিছু সংক্রমণ যেমন- ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডাইটিস (আপনার হার্ট ও হার্টের ভালভের ভেতরের আস্তরণের সংক্রমণ) ও অস্টিওমাইলাইটিস (হাড়ের সংক্রমণ) এর কারণে এমনটি হতে পারে।
আরও কিছু বিরল সংক্রমণ আছে, যা রাতে ঘামের কারণ হতে পারে। হঠাৎ করেই যদি প্রায়ই রাতে ঘুমের মধ্যে প্রচণ্ড ঘেমে ওঠেন, তাহলে বিষয়টিকে সাধারণভাবে নেবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করাতে হবে।