ঝলমলে ত্বক পাওয়ার গোড়ার নিয়মগুলোর সঙ্গে আপনার নিশ্চয়ই পরিচয় আছে? ঠিক কী খেতে হবে, কতক্ষণ ঘুমোতে হবে তার সবটাই ঠোঁটস্থ। কিন্তু তা-ও কিছুতেই কেন ঝলমলিয়ে উঠছেন না বলুন তো? সম্ভবত তার প্রধান কারণ হচ্ছে আপনার জীবনচর্যায় সমস্যা। কেবল সৌন্দর্যচর্চার প্রাথমিক নিয়মগুলি মানলেই তো আর হবে না, রোজ আপনি যেভাবে বাঁচছেন, তার প্রভাবও পড়ে আপনার ত্বকে। মনে রাখবেন, ত্বক হচ্ছে অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যের আয়না!
স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন: স্ট্রেস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তা থেকে কখনওই পুরোপুরি বিযুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। স্ট্রেস বাড়লেই বাড়ে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ। আর এই হরমোনই ত্বকের প্রদাহ, র্যাশ আর ব্রণ বাড়াতে পারে। এমনকী সোরিয়াসিস ও এগজ়িমাও বাড়িয়ে দেয় বাড়তি স্ট্রেস। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হোন যা করলে আপনার মন এমনিতেই ভালো থাকে। সেই সঙ্গে রোজ কোনও একটা ব্যায়াম করতে পারলেও ভালো হয়। ব্যায়াম কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, বাড়ায় রক্তের প্রবাহ।
রোদ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন: রোদ যে ত্বকের পক্ষে ঠিক কতটা ক্ষতিকারক, তা আমরা আন্দাজও করতে পারি না! ত্বকের দাগ-ছোপ, বলিরেখা, রং কালো হয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা হয় রোদের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে এবং এই রশ্মি কার্যকর থাকে এমনকী মেঘলা দিনেও! বাড়িতে থাকলেও রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখুন, সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। মেকআপ বা এসপিএফযুক্ত টিন্টেড ময়েশ্চরাইজ়ার লাগালেও কিন্তু সানস্ক্রিনের কাজ হবে না। যাঁরা অফিসে জানলার কাছাকাছি বসেন, তাঁরা দিনের আলো থাকাকালীন অন্তত বার তিনেক সানস্ক্রিন রিপিট করুন।
ফোন বা অপরিষ্কার বালিশের ওয়াড় থেকেও ব্রণ হতে পারে: আশ্চর্য হবেন না, এটা সম্ভব! বিশেষ করে যাঁদের গালের ভিতরদিকে ব্রণ হয়, তাঁরা ফোনে কথা বলার সময় কান থেকে তা বেশ খানিকটা দূরে রেখে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন! ফোন সারাদিন যেভাবে ব্যবহৃত হয় তাতে প্রচুর জার্ম জমা হয়, তা ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দিয়ে সক্ষম। নিয়মিত বালিশের ওয়াড় কাচার অভ্যেসটাও তৈরি করতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের কোনও বিকল্প নেই এবং বিশ্বের সেরা ট্রিটমেন্ট দিয়েও আপনি ঘুমের অভাব পূর্ণ করতে পারবেন না। তাই সুস্থ, সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুম একান্ত জরুরি।