যেসব লক্ষণে বুঝবেন কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, কী করবেন এটি জানার পর?

কোলোরেক্টাল ক্যান্সার একটি জটিল রোগে। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপদ্ধতির পরিবর্তনসহ নানা কারণে এই ক্যান্সার হয়।

এপেনডিক্স, পায়ুপথ ও বৃহদান্ত্রের ক্যানসারকে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বলা হয়।

কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ও উপসর্গ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক।

বয়স : কোলোরেক্টাল ক্যান্সার যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে এ রোগে আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের ৫০ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সে এ রোগ হতে পারে।

ধূমপান ও অ্যালকোহলের ব্যবহার : ধূমপায়ীরা অধূমপায়ীদের চেয়ে ৩০-৪০ ভাগ বেশি কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। অ্যালকোহল ব্যবহারকারীদের মধ্যেও এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

অন্ত্রের অন্যান্য অসুখ : আগে থেকেই অন্ত্রের অন্য কোনো অংশে থাকা ক্যান্সার বা পলিপ অথবা অন্ত্রের অন্যান্য রোগ, যেমন মলাশয়ে আলসার তৈরি করে এমন প্রদাহ, অন্ত্রের প্রদাহ এ রকম কিছু কারণে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লিঙ্গ : পুরুষ ও মহিলা উভয়েই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

বংশগত : বংশগত কারণেও কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মা-বাবা, ভাইবোনের কারোর ৬০ বছর বয়সের নিচে অন্ত্রের পলিপ বা ক্যান্সার থাকলে অথবা যে কোনো বয়সে যে কোনো দুজনের এ ধরনের সমস্যা থাকলে আপনি কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

লক্ষণ : মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পর্যায়ক্রমে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য। মলের সঙ্গে রক্ত মিশে থাকে। ওজন কমে যায়। দুর্বলতা। পেটে অস্বস্তিভাব যেমন- গ্যাস, পেট ফুলে থাকা, পেট ভর্তি ভাব, কামড়ানো প্রভৃতি। রক্তশূন্যতা। রোগের শেষপর্যায়ে মলত্যাগ করতে না-পারা বা অন্ত্রনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy