হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। হার্ট অ্যাটাকের নির্দিষ্ট বয়স নেই। বরং জীবনযাপনে অসংগতি, অস্বাস্থ্যকর খাবার, জিনগত সমস্যা ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসব কারণে আজকাল অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক বেশি হচ্ছে- বিশেষ করে ৩০-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে।
ঠিক কোন কোন কারণে অল্প বয়সে অনেকই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের কোনো একটি নির্দিষ্ট নেই। বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে। তবে মূল যে কারণগুলি বেশি প্রভাব ফেলে, তা নিম্নরূপ-
* মাদকাসক্তি
* মদ ও ধূমপান
* অতিরিক্ত টেনশন করা বা উচ্চ রক্তচাপ
* হাই কোলেস্টেরল লেভেল
* শারীরিক সক্রিয়তার অভাব
* মধুমেহ রোগ
* দীর্ঘ সময় ধরে ভুল খাদ্যাভ্যাস
ভারতের বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. অরিন্দম বিশ্বাস এই সময়কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইদানীং অল্প বয়সীদের মধ্যে যে হৃদরোগের প্রবণতা বেড়েছে, তা মূলত লাইফস্টাইলের কারণেই। বিশেষত অভিনেতাদের জীবনে সময়ের অভাব, ঘুমানোর সময় কম। বাইরের চেহারা যতই ঝকঝকে হোক না কেন, ভিতরে মোটেই ভালো নয়। জোর করে চেহারা বানানোর চেষ্টাও সমস্যা সৃষ্টি করে। অল্প বয়স থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ৮ ঘণ্টার ঘুম অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও স্ট্রেস বা অতিরিক্ত টেনশনের ফলেও হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। ইদানীং দেখছি সব ট্রান্স-ফ্যাটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। পিৎজ্জা, বার্গার জাতীয় ফাস্ট ফুড থেকে ধমনীতে চর্বি জমছে। যার ফলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাক।
ডাক্তার বিশ্বাসের পরামর্শ, ১৮ বছর থেকেই সতর্ক হতে হবে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট বা ১০ হাজার স্টেপস হাঁটার অভ্যাস গড়তে হবে। বাইরের খাবারের থেকে বাড়ির খাবারের প্রতি নির্ভরশীল হতে হবে। জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও পরিবারে সুগারের ইতিহাস থাকলে, কোল্ড ড্রিঙ্ক বন্ধ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, ৯ বছর বয়স থেকেই ছোটদের মধ্যে স্থূলতা এড়াতে হবে।bs