সুস্থতার জন্য শরীরচর্চার বিকল্প নেই। এর মধ্যে হাঁটা হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এতে শরীর থাকে সুস্থ ও সজীব।
প্রায় সবাই সোজা পথে সামনের দিকেই হাঁটেন সব সময়। তবে জানেন কি, ফিটনেস রুটিনে একই রুটিনের বাইরে কিছু করলে তার প্রভাব অনেক দ্রুত পড়ে? যেমন মানসিক ও শারীরিক ফিটনেসের জন্য পেছনের দিকে হাঁটার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অবাক করা তথ্য হলেও সত্যি যে, পেছনের দিকে হাঁটার রয়েছে অনেক উপকারিতা। সেগুলো কী? চলুন জেনে নেয়া যাক-
ঘুমের সমস্যা থাকে না
যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত হাঁটুন উপকার পাবেন।
হজম শক্তি বা মেটাবোলিজম বাড়ায়
পেছনে হাঁটা হজম শক্তি বা মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করে।
হাড় মজবুত করে
অনেক হার নরম থাকে, এ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পেছনে হাঁটুন।
পায়ের মাংসপেশির স্ট্রেন্থ বা শক্তি বৃদ্ধি পায়
যাদের পায়ের মাংসপেশির সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত পেছনে হাঁটুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
যাদের ওজন দ্রুত বাড়ছে, তারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত পেছনে হাঁটুন।
অবসাদ দূর করে
পেছনে হাঁটলে সারাদিনের কর্মক্লান্তি কিংবা অবসাদ দূর হয়। তাই সময় বের করে দিনে একবার আধা ঘণ্টা পেছনে হাঁটুন।
কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে
ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে হলে কাজ করার ক্ষমতা থাকে হয়। আর কাজ করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় নিয়মিত পেছনে হাঁটা।
আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়
জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস খুবই জরুরি। ব্যায়াম হিসেবে পেছনে হাঁটা আপনার সেই আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেবে।
প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে আধা ঘণ্টা পেছন দিকে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথম প্রথম হাঁটতে একটু অসুবিধা হবে তারপর অভ্যাস হয়ে গেলে ধীরে ধীরে স্পিড বাড়াবেন। অবশ্যই নিরাপদ রাস্তায় হাঁটবেন, কোনো ব্যস্ত সড়কে কখনোই এটা করতে যাবেন না।bs