অ্যালোভেরাকে রূপচর্চার পরশপাথর বললে হয়তো খুব এক ভুল বলা হবে না। মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত সব কিছুর ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিতে যে সব প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করা হয় তার অন্যতম অ্যালোভেরা। এই গাছের আরও একটি গুণ হলে এটি সহজলভ্য তাই বাড়িতে গাছ রেখে কিনা বাজার থেকে কিনে এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা বেশ সহজ এবং পকেট ফ্রেন্ডলি। তবে এত গুণ যে অ্যালোভেরা জেলের কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারের ভুলে এই জেল উপকারের বদলে অপকারও করতে পারে। যেমন-
বাজার থেকে অ্যালোভেরা জেল না কেনাই ভাল
সুদিং ও কুলিং কার্যকারিতার জন্য গরমকালে ঘরোয়া পরিচর্যায় অ্যালোভেরা বেশ হিট। তবে বাজার থেকে অ্যালোভেরা জেল না কেনাই ভাল। কারণ টাটকা অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য বেশি কার্যকরী। আর বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেলে রাসায়নিকের ব্যবহার থাকবে। তাই বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেল কতটা খাঁটি তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। তাই বাজার থেকে অ্যালোভেরা জেল না কিনে অ্যালোভেরার গাছ থেকে টাটকা অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ভাল ও দ্রুত ফল পাবেন। আর ইন্ডোর প্ল্যান্ট হিসেবেও এই অ্যালোভেরার কাজ খুব ভাল।
জেল নিতে অ্যালোভেরার ছোট পাতার ব্যবহার করবেন না
অ্যালোভেরার গাছ থেকে জেল নিলে মাথায় রাখবেন সব সময় বড়া ও ফুল সাইজের পাতা থেকে জেল বাড় করে নেবেন। ছোট পাতা ভুলেও বাছবেন না । কারণ ছোট বা কচি পাতার জেল পুরোপুরি পাকে না। এর ফলে এই জেল ব্যবহার করলে ত্বকে র্যাশ বা চুলকুনির হতে পারে।
আগে অ্যালোভেরা পাতার কাটা পরিষ্কার করুন
পাতা থেকে জেল বার করার সময় আগে পাতার কাটাযুক্ত অংশটা পুরোটা কেটে ফেলুন। কাটার অংশ টা পরিষ্কার করে এবার পাতা মাঝখান থেকে কেটে নিন এবং চামচ দিয়ে জেল স্কুপ আউট করে নিন।
অপরিষ্কার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগাবেন না
অনেকেই পাতা থেকে জেল বার করে মুখ পরিষ্কার না করেই মুখে লাগিয়ে ফেলেন। এর ফলে অ্যালোভেরা জেলের সঠিক লাভ পাওয়া যায় না। এই অ্যালোভেরা জেল যাতে ত্বকের গভীর পর্যন্ত যায় তার জন্য আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে তবে এটা মুখে বা শরীরের অন্য কোনও অংশে ব্যবহার করুন।
ত্বকের ধরণ অনুযায়ী জানতে হবে ব্যবহারের পদ্ধতি
যাদের ত্বক শুষ্ক তারা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে মাখলে ভাল ফল পাবেন। আবার যাদের ত্বক তৈলাক্ত বা সংবেদনশীল তারা এই জেলের একটা পাতালা স্তর মুখে ভাল করে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরে সকাল উঠে মুখ পরিষ্কার করে নিন।bs