ফরাসিতে ভিনিগার শব্দের অর্থ ‘সাওয়ার ওয়াইন’। সাধারণত ভিনিগার বলতে টক ওয়ানইকেই বোঝায়। আপেল সিডার ভিনিগারের ক্ষেত্রে আপেলের রসে ইস্ট ও ব্যাকটিরিয়া মিশিয়ে তাকে প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্যকর নানা কারণে এই ভিনিগারকে ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও।
ডাক্তারের পরামর্শ মতো অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারকে যদি রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না। এই পানীয়টিতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপদান শরীরে প্রবেশ করলে খিদে কমে যেতে শুরু করে। আর কম পরিমাণে খাওয়ার খারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে সময় লাগে না। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে শুধু এই পানীয়টি খেলে কিন্তু তেমন একটা উপকার মিলবে না। ফল তখনই পাবেন যখন শারীরিক পরিশ্রম করার পাশাপাশি এই পানীয়টি পান করা শুরু করবেন।
ওবেসিটি বা অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত এমন ১৭৫ জন ব্যাক্তিকে নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে, রোজ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কমায় পেটের মেদও। তবে অবশ্যই খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমাতে হবে। কেবলমাত্র ভিনেগার খেলেই ওজন কমবে না।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাওয়ার নিয়ম
দিনে বড় চামচের দু’চামচ বেশি আপেল সিডার খাবেন না। খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। এ ছাড়া যখনই এই ভিনিগার খাবেন তা অবশ্যই জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে ফেলতে হবে। যেমন এক গ্লাস জলে ১/২ টেবিলচামচ (৫-১০ মিলিলিটার) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।bs