অন্য ফলের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি থাকায় আমরা অনেক সময় এড়িয়ে যায় আতা ফল। কিন্তু আতা ফলের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। শরৎ এবং হেমন্তে খুব স্বল্প সময়ের জন্যই পাওয়া যায় আতা৷ এর স্বাদের জন্য ইংরেজিতে নাম দেওয়া হয়েছে ‘কাস্টার্ড অ্যাপল’।
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর সব সময় মৌসুমি ফল খাওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন। তার মতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়, এমন ফল আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী৷ তিনি আতার গুণাগুণ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন।
আলাসার দূর করতে:
আতা পেটের আলসার দূর করে৷ গ্যাসের সমস্যাতে উপকারী আতা৷
চোখ ও মস্তিষ্কের সুস্থতায়:
রুতুজা মনে করেন, চোখ এবং মস্তিষ্ক, দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দুই অঙ্গের সুস্থতার ক্ষেত্রে আতা উপকারী৷
রক্তস্বল্পতায়:
আতায় প্রচুর আয়রন আছে৷ ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বাড়ানোর জন্যও এই ফল কার্যকর৷
ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে:
রুজুতা জানিয়েছেন, আতায় অ্যান্টি অবসিয়োজেনিক, অ্যান্টি ডায়াবেটিস এবং অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান আছে৷ তাই ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রোগীদের ডায়েটে এই ফল রাখতে বলেছেন রুতুজা৷
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে:
প্রচুর ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আতা৷ সুস্বাদু এই ফলে প্রচুর পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আছে৷ তাই উচ্চরক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে আতা কার্যকর৷
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে:
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বেশি মাত্রায় থাকে বলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় আতায়৷ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়ে৷
জয়েন্ট পেইনের সমস্যায়:
ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকায় আতার খাদ্যগুণে মজবুত হয় পেশি৷ কমে যায় জয়েন্ট পেইন বা গাঁটের ব্যথা৷
চুলের যত্নে:
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি থাকে আতায়৷ ফলে স্ক্যাল্পে সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত হয়৷ চুল পড়া কমে ও ঝলমলে হয় চুল।
ত্বকের যত্নে:
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্স থাকার কারণে আতা খেলে ত্বকও ভালো থাকে।
হজমে:
শরীর থেকে টক্সিন বার করে দেয় আতার পুষ্টিগুণ ৷ ফলে পরিপাক ক্রিয়ায় সুবিধে হয়৷
ওজন কমাতে:
ডায়েটিং এর ক্ষেত্রে একবারে পুরো আতা ফল না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। তাহলেই দেখবেন উপকার পাওয়া যাবে।bs