অস্বস্তিকর গরমে সবারই একেবারে নাজেহাল অবস্থা। এই সময় একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই ভরসা রাখেন এয়ার কন্ডিশনারের উপর। কিন্তু সবার বাড়িতে এসি বা এয়ার কন্ডিশনার থাকে না। তাদের ক্ষেত্রে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় কী? আবার সারাক্ষণ এসির মধ্যে থাকলে শারীরিক নানা অসুবিধারও সৃষ্টি হয়।
তাই এসি ছাড়াই কীভাবে ঘর ঠান্ডা রাখা যায়, তা জেনে নেয়া জরুরি। কিছু সহজ উপায় মেনে চললে আপনি সহজেই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-
ঘর মুছুন ভেজা ভেজা করে
ঘর তো প্রতিদিনই মোছা হয়, তবে গরমের সময়ে একটু ভেজা ভেজা করে মুছুন। অবাক করা হলেও এটি কার্যকরী। দিনে দুই-তিনবার এভাবে মুছতে পারেন। মেঝের পাশাপাশি জানালাও মুছতে পারেন। এরপর ফ্যান চালিয়ে দিন। ঘর মোছার আগে জানালা-দরজার কপাট বন্ধ করে পর্দা টেনে নেবেন। এতে ঘর অনেক সময় ঠান্ডা থাকবে।
গাছ লাগাতে পারেন
ঘরেই বাঁচে এমন ধরনের বিভিন্ন গাছ লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা, স্নেক প্ল্যান্ট, মানি প্ল্যান্ট, পাম, লিলিসহ পছন্দের যেকোনো গাছ রাখুন বাড়িতে। এতে ঘরে একটি স্নিগ্ধ ভাব আসবে, ঘরের বাতাস শুদ্ধ থাকবে এবং ঘরের তাপমাত্রা কমবে অনেকটাই। তাই এসি ছাড়াও ঘর ঠান্ডা রাখতে চাইলে গাছ লাগান।
দেয়ালে হালকা রং
রং যত গাঢ় হয় তত আলো শোষণ করে এবং যত হালকা হয় তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়ে যায়। এদিকে আলো যত শোষিত হবে, ততই বাড়বে ঘরের তাপমাত্রা। তাই যতটা সম্ভব দেয়ালের রং হালকা রাখুন। ঘরের দেয়ালে প্যাস্টেল শেড পেইন্ড করাতে পারেন।
ভারী সুতির পর্দা ব্যবহার
জানালায় সুতির পর্দা ব্যবহার করুন। তবে তা যেন অবশ্যই ভারী হয়। সুতির বদলে লিলেন বা অন্য যেকোনো ন্যাচারাল ফেব্রিকের পর্দা টাঙাতে পারেন। এতে ঘরের তাপমাত্রা কমবে অনেকটাই। শুধু পর্দা নয়, বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের ক্ষেত্রেও এমনটা করুন। খেয়াল রাখবেন এসবের রং যেন হালকা হয়। বিছানাপত্র খুব একটা ময়লা হওয়ার আগেই পাল্টে নিন।
রান্নাঘর ও বাথরুমে এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার
গরমে রান্না করা অনেক কষ্টকর। এই গরমে রাঁধতে গিয়ে হাঁসফাঁস না করে বরং এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। এতে রান্নাঘরের গরম বাতাস বাইরে বের হয়ে যাবে। যদি সম্ভব হয়, দিনের তাপমাত্রা বাড়ার আগেই রান্না শেষ করুন। একইভাবে বাথরুমেও এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। স্নানের সময় সেই ফ্যান চালিয়ে নিন। এতে কষ্ট কম হবে।bs