লিভার শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের বিপাকে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীর থেকে খারাপ ও দূষিত পদার্থকে বের করে দিতে পারে লিভার। এছাড়া খাদ্য হজমেও সাহায্য করে এই অঙ্গ। তাই বিশেষজ্ঞরা লিভারকে সুস্থ রাখার কথা বলেন।
তবে অনেক সময়ই দেখা যায়, অসচেতনতার কারণে লিভারের সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই পেটে ব্যথা, বমি, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে সবাইকে অবশ্যই হতে সতর্ক হতে হবে। কারণ এই লক্ষণগুলো লিভার বড় হয়ে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে। তাই এই বিষয়ে প্রত্যকেরই খেয়াল রাখতে হবে।
চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক…
লিভার বড় হয় কীভাবে?
আমদের গোটা শরীরের ওজনের মাত্র ২ শতাংশ হল লিভারের ওজন। এই অঙ্গটির দৈর্ঘ হল মোটামুটি ১৫ সেমি।কিন্তু এর আকৃতি ১৫ থেকে ১৬ সেমি ছাড়িয়ে গেলেই দেখা দেয় সমস্যা। এই সমস্যার নাম লিভার এনলার্জমেন্ট বা হেপাটোমেগালি।
লিভার বড় হওয়ার মূল কারণ হল ফ্যাট জমা। এরফলে বাড়তে থাকে লিভারের ওজন। এই ফ্যাটি লিভারের পিছনেও অনেক কারণ থাকতে পারে।
মদ্যপান, বেশি খাবার খাওয়া, বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া, কম ঘুম ইত্যাদি হতে পারে ফ্যাটি লিভারের কারণ। লিভার বড় হওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই পেটে নিয়মিত ব্যথা হলে লিভার ফাংশন টেস্ট বা সেরোলজি টেস্ট করতে বলেন চিকিৎসকরা। তাই সতর্ক থাকা ছাড়া অন্য কোনও গতি নেই।
কীভাবে সমস্যা দূর করবেন?
এই সমস্যা দূর করতে চাইলে প্রাথমিকভাবে জীবনযাত্রা ও ডায়েটের উপর লক্ষ্য রাখতে হয়। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক এক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে-
> মিষ্টি খাবার হল লিভারের শত্রু। তাই এই ধরনের খাবার থেকে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। তবেই সমস্যা থেকে ভালো থাকা যাবে। প্রতিটি মানুষের উচিত এই ধরনের খাদ্য থেকে নিজেদের দূরে রাখা।
> মদ্যপান লিভারের প্রচণ্ড ক্ষতি করতে পারে। এমনকী বিভিন্ন গবেষণাতেও প্রমাণিত হয়েছে সেই কথা। এছাড়া অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলে একটি সমস্যাও রয়েছে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
> ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। বাইরের তেল ভাজাভুজি খাওয়া চলবে না একেবারেই।
> বেশি করে ভিটামিন ও খনিজ পরিপূর্ণ শাক, সবজি, ফল খান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।
> নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
> যতটা দ্রুত সম্ভব ওজন কমান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।Ts