আমাদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই কম বেশি আলু খাওয়া হয়। আর আলু কাটার সময় খোসাগুলো ফেলে দেয়া হয়। তবে জানেন কী আলুর খোসার গুণ সম্পর্কে? আলুর খোসার গুণ সম্পর্কে জানলে আপনি আর কখনও আলুর খোসা ফেলে দেবেন না।
দেখে নেয়া যাক আলুর খোসার কী কী গুণ রয়েছে-
আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং মিনারেল রয়েছে। যা শরীরের রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। পটাশিয়াম আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে সচল রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এক একটি আলুর খোসা থেকে আমরা ৬০০ গ্রাম পটাশিয়াম পেতে পারি। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আমরা অনেকেই জানি না আমাদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১৬ মিলিগ্রাম করে নিয়াসিন শরীরের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু এই নিয়াসিন আমাদের শরীর পাবে কোথা থেকে। তার সমাধানও আলুর খোসায়। আলুর খোসা থেকে প্রয়োজনীয় নিয়াসিন আপনি পেতে পারেন। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আলু থেকে আমরা প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেট পাই। আলুর খোসা থেকেও আমরা একই উপাদান পাই। তাই যদি আমরা আলুর খোসা না ছাড়িয়ে খাই তাই এই প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেট আমরা বেশি করে পাব। যা শরীরকে আরো শক্তিশালী ও রোগ প্রতিরোধক করবে।
আয়রন হলো শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন রক্তের কণিকার স্বাভাবিক কার্যপ্রণালীকে সক্রিয় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রত্যেক দিন ৩-৫টি খোসা আমাদের শরীরকে ৪ মিলিগ্রাম লোহা বা আয়রনের যোগান দেয়।
যাদের হজমশক্তি দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে আলুর খোসা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কারণ, আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। ফাইবার আমাদের শরীরের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। আলুর খোসা গুরুপাক খাবারও সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো একটি উপকার হয়। আর তা হলো শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ শুষে নেয়। আলুর খোসার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যদিও ডায়াবেটিস রোগীদের আলু খেতে মানা করে। তবে আলু যদি খোসা সমেত সিদ্ধ করে জল ফেলে দিয়ে রান্না করা হয় বা খাওয়া হয় তাতে খুব একটা ক্ষতি হয় না।bs