কিছু খাবার আছে যা আমাদের শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ধারণ করে। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো সুপারফুড, সেসব খাবার আমাদের পুরো শরীরের জন্য উপকারী এবং তাতে প্রচুর ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এই খাবারগুলো আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং এগুলো বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। এমন পাঁচটি সুপারফুড সম্পর্কে জেনে নিন যা আপনার খাবারের তালিকায় যোগ করা উচিত-
তিল
তিলের আকার ক্ষুদ্র বলে একে অবহেলা করবেন না। ক্ষুদ্র ও বাদামি এই বীজগুলো পুষ্টিতে ভরপুর। এর ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উচ্চ উপাদান শরীরে তেলের প্রাকৃতিক উত্পাদন বাড়ায় এবং ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুপারফুড। তিল কোলেস্টেরল মুক্ত, তাই এটি আমাদের হৃদযন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত ভালো। চুল পড়া আমাদের একটি সাধারণ সমস্যা। এক্ষেত্রে তিল খেলে তা চুল পড়া রোধে কাজ করতে পারে।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল সুপারফুডের মধ্যে অন্যতম। বহুমুখী ব্যবহারের প্রসঙ্গ এলে এর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো খাবার কমই আছে! এটি রান্না, খাওয়া, সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। নারিকেল তেল একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার যা বডি লোশন বা মুখের ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে যোগ করতে পারেন। তবে নারিকেল তেল যেন অবশ্যই ভোজন উপযোগী হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
পেঁপে
কমলা এবং হলুদ রঙের এই ফল আপনার ঝুড়িতে যোগ করার মতো আরেকটি সুপারফুড। এটি ত্বক ফর্সা করার মাস্ক, ক্রিম এবং লোশনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পেঁপে ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ। পেঁপে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক। অনিয়মিত পিরিয়ডের ক্ষেত্রে নারীর জন্য পেঁপের রস দুর্দান্ত একটি টোটকা। কারণ এটি পিরিয়ডের চক্রকে স্বাভাবিক করতে সহায়তা করতে পারে। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এটি একটি দুর্দান্ত উৎস।
অ্যালোভেরা
নারিকেল তেলের মতো অ্যালোভেরারও রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। এর ভেতর থেকে বের করা জেল ভীষণ উপকারী। এটি ত্বকের সমস্যা, ব্রণ, দাগ এবং রোদে পোড়া সমস্যা দূর করার জন্য তৈরি বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত হয়। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গঠন উন্নত করতে এবং বয়সের ছাপ পড়া দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার জুস পান করলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বুকজ্বালা নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি পরিষ্কার ত্বকের পাশাপাশি হজমের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় অনেকটাই অপ্রতিদ্বন্দ্বী। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে এবং কোলেস্টেরল, হার্ট, স্তন বা হজমের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এটি শুধু খাবারে স্বাদই যোগ করে না, সেইসঙ্গে সৌন্দর্যের রুটিনের একটি অংশ হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হাইড্রেটিং গুণাবলী সহ অ্যান্টি-এজিং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি চুল বা নখে ব্যবহার থেকে শুরু করে ঠোঁটে স্ক্রাব পর্যন্ত করা যেতে পারে।bs