চাকরিজীবীরা প্রায় সময় দেখা যায় অফিসের বস, সহকর্মী বা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার লোকজনের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন। আর নেতিবাচক ব্যবহারের কারণে অনেকে চাকরি ছেড়ে দেন। এ সংখ্যাও নেহাত কম নয়। হিসাব করলে দেখা যায় শতকরা ৫০ ভাগ। তবে কর্মীদের হেনস্তা করার পেছনে অবশ্যই কয়েকটি কারণ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কর্মে দক্ষ :
আপনি যদি ভালো কাজ করেন এবং আপনার বসও যদি এ কারণে আপনার প্রশংসা করে থাকেন তবে হিংসার বশবর্তী হয়ে আপনার সহকর্মীরা আপনাকে হেয় করার চেষ্টা করবে। এটি একসময় এমন পর্যায়ে যাবে, যা আপনাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করবে।
জনপ্রিয়তা :
যখন আপনি কাজে ভালো, ব্যবহারেও ভালো হয়ে সবার মধ্যমণি হয়ে উঠবেন তখন কিছু মানুষ চেষ্টা করবে আপনাকে কিভাবে নিচে নামানো যায়। এমনকি তারা আপনার ব্যক্তিগত বা সামাজিক বিষয় নিয়ে কথা বলতেও সামান্য কুণ্ঠাবোধ করবে না।
ভালো মানুষ হওয়া :
আপনি যদি ভালো মানুষ হয়ে থাকেন তবে সেই সুযোগ আপনার অফিসের অনেকেই ব্যবহার করতে চাইবে। তারা মনে করবে আপনি নরম মনের মানুষ এবং যা-ই হোক না কেন কোনো কিছুতেই আপনি কিছু বলবে না। আপনাকে হেনস্তা করার ইচ্ছা থাকলে তারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে মাঠে নামবে।
সহজ-সরল :
অনেক মানুষ থাকে যারা খুব বেশি সহজ-সরল হয় এবং তাদেরকে লক্ষ্য করে বাকিরা হেনস্তা করে। এ কারণে অনেকে দেখা যায় ইচ্ছা করে ওই মানুষটাকে হেয় করে।
চাকরির জন্য মরিয়া :
আপনার সহকর্মীরা যদি জেনে থাকে আপনি চাকরির জন্য কতটা মরিয়া তবে সেই সুযোগ নিয়ে বাকিরা আপনাকে হেনস্তা করতে পারে। কারণ তারা জানে আপনাকে যতই হেনস্তা করা হোক না কেন আপনি চাকরি ছেড়ে যাবেন না। আপনি যদি এ বিষয়ে মানবসম্পদ বিভাগকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ওই বিষয়টি ওইখানে বাদ দিয়ে দিন এবং চাকরি পরিবর্তনের চেষ্টা করুন।bs