আমাদের অনেকের কাছেই অনেক পরিচিত একটি সমস্যা হচ্ছে মাইগ্রেন। এটি হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। তবে সাধারণ মাথাব্যথার সঙ্গে মাইগ্রেনের মাথাব্যথার পার্থক্য থাকে।
মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত মাথার কোনো একটি দিক থেকে শুরু হয়ে থাকে। আর এটি অন্য সাধারণ মাথাব্যথার তুলনায় অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
এ ছাড়া মাইগ্রেনের সমস্যা হলে সেটি মুখে এক অস্বস্তিকর ভাব আনে এবং বমি বমি ভাবের সৃষ্টি করে। তবে কষ্টদায়ক এ সমস্যাটি হওয়ার পেছনে দায়ী থাকতে পারে আপনারই দৈনন্দিন জীবনের কিছু কারণ। তাই জেনে রাখুন যে সাত কারণে আপনারও হতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা—
১. স্ট্রেস বা চাপ
যারা বেশি স্ট্রেসে বা চাপে থাকেন, তাদের মাইগ্রেনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ ছাড়া ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম করে যারা বেশি মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করেন, তাদেরও মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই মাইগ্রেন সমস্যা থেকে দূরে থাকতে মানসিক চাপে কোনো কাজ করা উচিত না।
২. পেট খালি রাখা
দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ পেট খালি থাকলে তা পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এটি মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে সহায়তা করে।
৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয়
প্রক্রিয়াজাত অপুষ্টিকর মিষ্টি খাবার ও পানীয়, যেমন— ক্যাফেইন, চকলেট, সয়া, চিজ, প্রক্রিয়াজাত মাংস, অপুষ্টিকর মিষ্টি ইত্যাদি খাবার মাইগ্রেনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪. আবহাওয়া
অনেক সময় আবহাওয়ার কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া বাইরে বেশি পরিমাণে রোদে ঘোরাঘুরি করলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও গরমের তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যথা দেখা দিতে পারে।
৫. অতিরিক্ত শব্দ ও কড়া গন্ধ
অতিরিক্ত শব্দ ও কড়া কোনো গন্ধ সবসময় থাকার কারণে অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা এড়াতে এগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৬. অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত ঘুম
অনেকে অসময়ে বা অনেক বেশি পরিমাণে ঘুমিয়ে থাকেন। কিন্তু এ দুটি কারণও হতে পারে আপনার মাইগ্রেনের কারণ। তাই এ সমস্য এড়াতে সময়মতো ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
৭. অতিরিক্ত ওষুধ খেলে
ওষুধের অতিমাত্রায় ডোজ ব্যবহার করলে বা অনেক বেশি পরিমাণে ওষুধ খাওয়ার ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৮. অতিরিক্ত মিষ্টি খাবারের কারণে
অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে মিষ্টি খাবার খাওয়ার কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এতে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তা অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন করে। আবার পরে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়। আর এ তারতম্যের কারণে অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়।bs