সকালের জলখাবারে ডিম সেদ্ধ বা অমলেট না খেলে অনেকেরই দিন ভালো কাটে না। সবচেয়ে সহজলভ্য কিন্তু অত্যন্ত পুষ্টিকর এক খাবার হলো ডিম। শরীরের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে ডিম। গবেষণা বলছে, ডিমে থাকে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ২, সায়ানো কোবেলামিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, কোলেস্টেরল, ফোলেট, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, কোলাইন, সেলেনিয়াম ও আয়রন।
তবে জানলে অবাক হবেন, অধিক পুষ্টির উৎস ডিমও কিন্তু অজান্তেই বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে সেটি আপনার ভুলেই। যদি কারও ডিমে অ্যালার্জির সমস্যা না হয়, তাহলে ডিম সম্পূর্ণ নিরাপদ।
তবে ডিম খাওয়ার পর এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খাওয়া বিপজ্জনক। জেনে নিন কোন কোন খাবার ডিম খাওয়ার পরে খাবেন না-
>> ডিম খাওয়ার পরপরই কোমল পানীয় একেবারেই খাবেন না। এই জাতীয় পানীয়ে প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে। ফলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
>> ডিম সেদ্ধ বা পোচের পরে চা বা কফি খেলে বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে ডিম ভাজার পরে এগুলো মোটেই খাওয়া উচিত নয়। এতে হজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
>> ডিম খাওয়ার পরপরই চিনি খাবেন না। ডিম আর চিনি একসঙ্গে পেটে গেলে ক্ষতিকর অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই অ্যামাইনো অ্যাসিড রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে।
এতে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। খুব সামান্য পরিমাণে চিনি পেটে গেলে অসুবিধা নেই। তবে দুই-তিন চামচ বা তার বেশি চিনি গেলে বিপদ হতে পারে।
>> সকালের নাস্তায় ডিমের পাশাপাশি ফলও রাখেন নিশ্চয়ই। তবে নাস্তার তালিকায় ডিম রাখলে তরমুজ পরিহার করুন। কারণ ডিম আর তরমুজ একসঙ্গে খেলে পেটে ফোলাভাব ও বদহজম হতে পারে।
>> সয়া মিল্ক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে ডিম খাওয়ার পরে এই দুধ খাওয়া উচিত নয়। সয়া মিল্ক ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দেয়।