শরীরে জটিল কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে কিনা ?জানতে পারবেন এই উপায়ে।

চিকিৎসা শাস্ত্রমতে, শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই তা আগাম জানান দিতে পারে জিভ। এ কার্যকারিতার কারণে জিভকে প্রাকৃতিক ডাক্তারও বলা হয়ে থাকে। তাই হাসপাতালে রোগের চিকিৎসা নিতে ছুটলে চিকিৎসকও প্রথমে জিভের দেয়া রোগের ইঙ্গিতই দেখতে চান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধলে রোগ অনুযায়ী জিভের রং পরিবর্তন হতে শুরু করে। জিভের স্বাভাবিক রং ধরা হয় লালচে গোলাপিকে। এ রংয়ে পরিবর্তন হওয়া মানেই শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল কোনো রোগ। যেমন-

১। জিভের ওপর স্ট্রবেরির মতো লালচে কাঁটা কাঁটা কিছু ফুটে উঠলে তা সোরিয়াসিস মানে ত্বকের ডিসঅর্ডারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২। জিভের ওপর সাদা বা হলুদ ক্রিমি লেয়ার পড়লে এর অর্থ দাঁড়ায় দুটি। প্রথমত নিয়মিত জিভ পরিষ্কার না করলে এমন হতে পারে। দুই, ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ কিংবা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হলেও জিভ সাদা বা হলুদ হয়।

৩। জিভ অতিমাত্রায় লাল ও মসৃণ হলে ভিটামিন বি ১২-র অভাবকে বোঝায়।

৪। জিভে কালচে ভাব হওয়ার মানে চড়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব। এছাড়া ধূমপান, ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলেও জিভের ওপর কালচে আস্তরণ পড়ে।

৫। শরীরে অক্সিজেনের অভাবের ইঙ্গিত দিতে জিভ স্বাভাবিক রং পরিবর্তন করে নীলচে বা বেগুনি রং ধারণ করে।

৬। জিভের রং একেবারে ফ্যাকাশে হয়ে তাতে লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ ও ব্যথাহীন ফুসকুড়ি হলে জিভ ভয়ংকর রোগের ইঙ্গিত দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, জিভের এমন পরিবর্তন অটোইমিউন রোগ ও ক্যানসারের ইঙ্গিত বহন করে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy