রোজ রোজ অ্যাসিডিটি চোঁয়া ঢেকুরে কষ্ট পান? এই খাবার না খেলেই মিলবে রেহাই।

অ্যাসিডিটির সমস্যাকে সাধারণ মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। তাই এ ধরনের সমস্যাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। অ্যাসিডিটির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হৃদপিণ্ড ও বুকে জ্বালাপোড়া, টক বা তিক্ত, বমি বমি ভাব, গলা জ্বালা, বমি, পেটে গ্যাস, পেটে ভারী হওয়া, পেটে ব্যথা, বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, পায়ে, হাতে তীব্র জ্বালাপোড়া। অ্যাসিডিটির কারণে মুখের আলসার, সারা শরীরে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং চুলকানির অনুভূতি দেখা দিতে পারে।

আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই, সেগুলো আমাদের জন্য উপকারী কিনা তা জেনে নেওয়া জরুরি। যেমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা। সেসব খাবার প্রতিদিনের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কিছু খাবারের সংমিশ্রণও আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

​দুধের সঙ্গে লবণ বা মাছ

অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ হলো সেসব খাবার একসঙ্গে খাওয়া, যেগুলো পরস্পরের সঙ্গে বেমানান। আপনি যদি ভুল খাদ্য সংমিশ্রণ করে থাকেন তবে তা শুধু অ্যাসিডিটিই নয়, বাড়িয়ে দেবে আরও অনেক সমস্যা। দুধের সঙ্গে লবণ বা মাছ মিশিয়ে কখনোই খাবেন না। কারণ এই সংমিশ্রণ আপনার অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দিতে পারে।

বাসি খাবার

সকালে বাসি খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। আগের রাতের বেঁচে যাওয়া খাবার তারা খেয়ে থাকেন। কিন্তু বাসি খাবারের কিছু অপকারিতা রয়েছে। আপনার যদি বাসি খাবার খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তবে তা পরিবর্তন করতে হবে। এ ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত বাসি খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বা খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে।

নিয়মিত খাবার না খাওয়া

অনেকে আছেন যারা কোনো কোনো বেলা না খেয়ে থাকেন। ব্যস্ততা বা অন্য কোনো কারণে কোনো একবেলার খাবার বাদ দিয়ে যান। এ কারণেও হতে পারে অ্যাসিডিটি। অনিয়িমিত খাবার খাওয়া, কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়া, ফাস্টফুড এবং অতিরিক্ত তেল-মসলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটি।

​বিয়ার বা ওয়াইন

যারা বিয়ার বা ওয়াইন পান করেন তাদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রচুর বিয়ার বা ওয়াইন পান করলে দেখা দেয় অ্যাসিডিটির সমস্যা। তাই সুস্থ থাকার জন্য এ ধরনের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

​প্যাকেটজাত বা হিমায়িত খাবার

অনেকেই আছেন যারা ঝটপট খাবার পর্ব সারার জন্য ​প্যাকেটজাত বা হিমায়িত খাবার বেছে নেন। এ ধরনের খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা। আপনার যদি ঘন ঘন ​প্যাকেটজাত বা হিমায়িত খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে তা বাদ দেওয়া উচিত। এ ধরনের খাবার পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং অ্যাসিডের উত্পাদন বাড়ায়।

অ্যাসিডিটি এড়াতে যা করবেন

অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে পারে সঠিক হজম এবং রক্ষণাবেক্ষণ। সেজন্য আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে মসলাদার খাবার, ফল ও শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে, পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে, নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে খেতে হবে, কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়া যাবে না এবং খালি পেটে ক্যাফেইন গ্রহণ করবেন না।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy