মাত্রাতিরিক্ত ওরাল সেক্সের নেশায় মাতলে হতে পারে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ। ওরাল সেক্সের মাধ্যমে মেয়েদের যৌনাঙ্গেই বাসা বাঁধে ‘ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস’। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যা বিভি নামেই পরিচিত। তবে বিভি কোনও যৌনরোগ নয়।
নারীর ভ্যাজাইনা বা যোনিতে সাধারণ যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে, সেখানে কোন ভারসাম্যের অভাব দেখা গেলে বিভি হতে পারে। বিভি হলেই যে কোনও উপসর্গ দেখা যাবে এমনটা নয়। তবে যোনি থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রস নির্গত হয়।
মানুষের মুখে বেশ কয়েকরকম ব্যাকটেরিয়া থাকে। তা যে সব ভালো এমনটা নয়। অনেকেই মুখ ভালো করে ধোন না। সেক্ষেত্রে মুখের লালা থেকে নানা জীবানুর সংক্রমণ হয়। আর যা যোনিতে গেলে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস কী?
বিভি এমনিতে কোন সিরিয়াস অসুখ না। তবে যেসব মহিলা বিভি-তে আক্রান্ত হন, তারা অন্যান্য যৌনরোগের শিকার হতে পারেন এবং তাদের মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তবে যাঁরা সন্তানসম্ভবা তাঁদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ খুবই খারাপ।
কীভাবে জানবেন আপনার বিভি হয়েছে?
বিভি মহিলাদের স্বাস্থ্যের একটা সাধারণ সমস্যা। যাদের ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হয়, তাদের যোনি থেকে এক ধরনের রস নিঃসৃত হয় এবং তাতে উৎকট আঁশটে গন্ধ থাকে। যোনি থেকে যে স্বাভাবিক রস বের হয়, বিভি হলে তার রঙ এবং ঘনত্বে পরিবর্তন দেখা যায়। সেই যোনি রস পাতলা জলের মত হয় এবং দেখতে অনেকটা ঘোলাটে সাদা হয়। আপনার বিভি হয়েছে কিনা, তা আপনার ডাক্তার বলে দিতে পারবেন যোনি রসের নমুনা পরীক্ষা করে।
পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, জেল কিংবা ক্রিম ব্যবহার করে সংক্রমণ দূর করা হয়। তবে যোনিতে কিন্তু ভালো ব্যাকটেরিয়াও থাকে। এদের বলা হয় ল্যাকটোব্যাসিলাই। এরা পিএইচ লেভেল কমিয়ে যোনিপথের অ্যাসিডিক বা অম্লভাব ধরে রাখে। কিন্তু কখনও যদি এই ভারসাম্য নষ্ট হয় যোনিতে অন্যান্য জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বেড়ে যায়।
যে যে কারণে এই সংক্রমণ হয়
অত্যধিক যাঁরা সেক্স করেন
তবে যাঁরা দীর্ঘদিন সেক্স করেন না তাঁদেরও হতে পারে
বার বার সঙ্গী বদল করলে
জন্মনিরোধক ব্যবহার করলে
যোনিপথে সুগন্ধী বা সাবান ব্যবহার করলে
তাই এই সংক্রমণ এড়াতে ৬ মাস ছাড়া পেলভিকের পরীক্ষা অবশ্যই করান।