লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপে ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় হাইপোটেনশন। মায়ো ক্লিনিকের তথ্যমতে, বসার অবস্থান থেকে দাঁড়ানোর সময় বা শুয়ে থাকার সময় যে কারও রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে গেলে মাথা ঘোরাতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপের বিভিন্ন লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, ঝাপসা দেখা, মনোযোগ দিতে সমস্যা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
হাইপোটেনশনের অন্যতম কারণ হলো ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা, গর্ভাবস্থা, কিছু ওষুধ, দীর্ঘমেয়াদে বিছানায় বিশ্রামসহ বিভিন্ন বিষয়।
অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশনসহ অনেক ধরনের হাইপোটেনশন আছে, যা মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা কিংবা অজ্ঞান হওয়ার জন্যও দায়ী হতে পারে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত রক্তচাপ মাপার পরামর্শ দেন।
হঠাৎ প্রেশার লো হয়ে গেলে দ্রুত যা করবেন-
জল পান করুন
ভারতের রিভার হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. স্বয়মান সিং পাখোকের মতে, নিম্ন রক্তচাপের কারণে যে কারও মাথা ঘুরতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুত জল পান করুন।
এই চিকিৎসক তার পোস্ট করা এক ভিডিওতে জানান, এমন রোগীকে ভুলেও চেয়ারে বসাবেন না। তাদেরকে মাটিতে রেখে পা বাড়ানোর পরামর্শ দিন। এতে হার্টের দিকে রক্ত সঞ্চালন হবে।
লবণ খেতে হবে
নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থেকে বাঁচতে দ্রুত লবণ মুখে নিন। কারণ লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। এ কারণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরকে বেশি লবণ খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা।
মোজা পরুন
অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, এক জোড়া টাইট ফিট মোজা পরেও আপনি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন রক্তচাপ। একে বলা হয় কম্প্রেশন স্টকিংস। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহ উন্নত হয়।
ওষুধ খান
রক্তচাপ কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ গ্রহণ করুন। এতে রক্তচাপ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
কীভাবে ব্লাড প্রেশার পরিমাপ করবেন?
ডা. পাখোদের মতে, রক্তচাপ পরিমাপের সময় সোজা হয়ে বসতে হবে, উভয় পা সমতলে রেখে রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে।
এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা, আর এ কারণেই বেশিরভাগ মানুষ ব্লাডপ্রেশার মাপতে ভুল করেন। এতে ফলাফলও আসে ভুল।