বয়স বাড়লেও ত্বক থাকবে টানটান, কীভাবে? জানতে হলে এই তথ্যটি পড়ুন।

মানুষের মুখই তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতিনিধি। একটি সতেজ মুখ মানে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু বর্তমান সময়ে রোদ, দূষণ, রূপচর্চার কেমিক্যাল উপাদান, মেকআপ সবকিছুই ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। আর আমাদের সচেতনতার অভাবে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। বারবার ত্বকের তৈলগ্রন্থিতে আঘাত লাগে, ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে সিবাম উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে ত্বক আরও বেশি তেলতেলে হয়ে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার তৈলগ্রন্থি স্বাভাবিক কাজ করাই বন্ধ করে দেয় ফলে ত্বক ক্রমশ শুকনো হয়ে বলিরেখা পড়ে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রতিদিন স্ক্রাব করার দরকার নেই, সম্ভব হলে মেকআপ ব্যবহার কমান। ত্বক চর্চার ক্ষেত্রে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল বা আমন্ড তেল ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন লাগান নিয়ম করে। আর অবশ্যই বদল আনুন রোজের খাদ্যতালিকায়।

মধু: মধু আমাদের ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। যারা চিনি দিয়ে চা খেতে অভ্যস্ত, তারা চিনির বদলে মধু দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। চায়ের স্বাদ বাড়বে। ত্বকও থাকবে চমৎকার। মধু আপনি প্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন। সমান পরিমাণ দারুচিনি আর মধু এক কাপ জলে ফুটিয়ে রাতে শোয়ার আগে আর সকালে পান করে দেখুন ছয়মাস। ত্বকের পরিবর্তন দেখে নিজেই আশ্চর্য হবেন।

মাখন: ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভালো মানের ফ্যাট একান্ত প্রয়োজনীয়। ঘি আর মাখন কিন্তু আপনার দামী কোনো তেলের চেয়েও অনেক কাজের। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় নয়, এক চামচ মাখন বা ভালো মানের ঘি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। তাতে ত্বক ঝলমলিয়ে উঠবে।

আদা: আদা ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আদা হজমশক্তি বাড়ায়, পেট পরিষ্কার রাখে। আধ ইঞ্চি স্লাইসের আদা দু’ কাপ জলে ভালো করে ফুটেয়ে নিন। জল কমে এককাপ পরিমাণ হলে ছেঁকে লেবু আর মধু মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে পান করুন। উষ্ণ গরম এই জল আপনার পেট পরিষ্কার রাখবে। ত্বক হয়ে উঠবে ঝলমলে।

লেবু: লেবুর ভিটামিন সি উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য। প্রতিদিন দুটি করে পাতিলেবু খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। হালকা গরম জলে লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায়। তা আপনার ফেস মাস্কের অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চায়ে লেবু মেশিয়ে খেতে পারেন। তবে লেবু দিনের বেলা খেয়ে নিলেই ভালো।

ফ্ল্যাক্সসিড: ফ্ল্যাক্সসিডে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট,অ্যান্টিঅক্সিডান্ট, ফাইবার মিলবে। এটি প্রোটিনেরও খুব ভালো উৎস। প্রোটিন সুষম খাদ্যতালিকার আবশ্যক অঙ্গ। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক বড় চামচ ফ্ল্যাক্সসিড যোগ করলে সুস্থ ত্বকের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন কোলেস্টেরল আর ডায়াবেটিসও।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy