একটানা এতদিন বাড়িতে বন্দি থাকলে একে একে রূপচর্চার সব উপাদান ফুরিয়ে আসা অস্বাভাবিক নয়। এদিকে নিজেকে ম্লান দেখতেই বা কার ভালোলাগে! ত্বক আর চুলের পরিচর্যায় কিছু সময় দিলে তা প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আবার মনটাও ভালো থাকবে। কিন্তু রূপচর্চার উপাদান যদি না থাকে?
বাড়িতে মুগ ডাল আছে নিশ্চয়ই? এটি শুধু সুস্বাদু রান্নার জন্যই নয়, ব্যবহার করা যায় রূপচর্চায়ও। সৌন্দর্যচর্চায় মুগ ডালের গুরুত্ব বেশ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-
যাদের ত্বক শুকনো খসখসে, তাদের জন্য মুগ ডাল বাটা অত্যন্ত উপকারী। একমুঠো মুগ ডাল কাঁচা দুধে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ভালো করে বেটে নিন। এরপর মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে সারা মুখে ওই পেস্ট লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে চোখে পড়ার মতো।
ব্রণের সমস্যা সমাধানে মুগ ডাল বাটা অত্যন্ত উপকারী। সারা রাত মুগ ডাল জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে বেটে মুখে লাগিয়ে নিন। এই পেস্টে আধ চামচ ঘি মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখ ভালো করে মাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে উপকার পেতে সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন।
ত্বকের কালো ছোপ তুলতে একমুঠো মুগ ডাল সারারাত ভিজিয়ে সকালে বেটে ফেলুন। এর সঙ্গে ঠান্ডা দই বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে দাগের উপর লাগান। ৫-১০ মিনিট পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার হবে এবং নরম হবে।
চুলের জন্যও মুগডাল অত্যন্ত উপকারী। যাদের খুব চুল পড়ছে, তারা প্যাক হিসেবে মুগ ডাল বাটা ব্যবহার করতে পারেন। কিছুটা মুগ ডাল জলে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর বেটে নিয়ে তার মধ্যে ডিমের কুসুম দিন। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং দই মিশিয়ে ভালো করে প্যাক বানান। ১৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ারপ্যাক সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।