কোলন ক্যান্সারের লক্ষন ও কারণগুলি ,জেনেনিন সবিস্তারে।

কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কেউবা হঠাৎ করেই আবার কেউ দীর্ঘমেয়াদে এ সমস্যায় কষ্ট ভোগ করেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভুল খ্যাদ্যাভ্যাস। খাবারে যথেষ্ট ফাইবার না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে এক সময় কোলন ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই সমস্যা পুষে রাখা উচিত নয় কারও। অন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী কোনো মাংসল অংশের বৃদ্ধি এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি কারণে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মধ্যবয়সী কিংবা বয়স্কদের মধ্যেই এই ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। তবে এখন কমবয়সীরা কোলনের নানা জটিলতা এমনকি ক্যানসারেও ভুগছেন। তবে এই কঠিন রোগ শনাক্ত করতে যাতে বেশি দেরি না হয়ে যায় সেজন্য আগের থেকেই বেশ কিছু উপসর্গ জেনে রাখা জরুরি। প্রাথমিক অবস্থায় কোলন ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়েও উঠতে পারেন।

কোলন ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?

•দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য

•দীর্ঘদিনের ডায়ারিয়া

• তীব্র পেটেব্যথা

• রক্তাল্পতা

•হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া

• মলত্যাগে যন্ত্রণা বোধ

• মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া

• বমি বমি ভাব

• পেটে অস্বস্তি, গ্যাস কিংবা জ্বালাপোড়া

• খিদে কমে যাওয়া

• শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি।

কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয়

• স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

• নিয়মিত শরীরচর্চা করা

• মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ

• লাল মাংস কম খাওয়া

• অন্যান্য ক্রনিক অসুখের চিকিৎসা

এর পাশাপাশি ফল-মূল, শাকসবজি, রুটি, ওটস ওমলেট ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। শস্যদানা ও পর্যাপ্ত ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কোলনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy