টানা আট-নয় ঘণ্টা কাজের ভেতর থাকতে হয় অফিসে। এটি মোটেও কম সময় নয়। অফিসের কারণে নানা রকম মানসিক চাপ ও স্ট্রেস তৈরি হয় বলেও অভিযোগ অনেকের। কাজের চাপ, সহকর্মীর ঈর্ষা, বসের ঝাড়ি- সব ঠান্যা মাথায় সামলে চলা বেশ কঠিন। কিন্তু অফিসের পরিবেশ নিজের অনুকূলে রাখলে কাজগুলো আর কঠিন মনে হবে না। অফিসেও হাসিখুশি থাকুন। কীভাবে? জেনে নিন-
যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব থাক জরুরি। অফিসেও তাই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করুন। মাথায় রাখবেন প্রতিটি দিনই আপনার কাছে কর্মদক্ষতা প্রমাণ করার একেকটি সুযোগ। তাই ধরাবাঁধা নিয়মের বাইরে ভিন্ন কিছু ভাবার চেষ্টা করুন। কাজের প্রতি শতভাগ ভালোবাসা রাখুন।
অফিসে সহজে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় না এটা অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু কাজ করতে গেলে সবার সঙ্গে মিলেমিলে থাকাই ভালো। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত বন্ধুত্ব করা দরকার নেই, তবে কাজের পরিবেশটা ভালো রাখার চেষ্টা করুন।
অনেক সময় কাজ করতে করতে একঘেয়ে লাগতেই পারে। তাই সময়টুকু যাতে একঘেয়ে না লাগে সেটুকু কথা বলুন আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে। এতে কাজের পরিবেশ সহজ হবে। মনও খুশি থাকবে।
নিজের ডেস্ক মনের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখুন। অফিস বলেই যে শুধু অফিস সংক্রান্ত জিনিসপত্র থাকবে, তা কিন্তু নয়। প্রিয়জনের ছবি, নিজের তৈরি বিশেষ কোনো ক্রাফট বা কোনো অর্জনের ক্রেস্ট রাখতে পারেন নিজের ডেস্কে। বাড়ি থেকে আসার পরেও মনে হবে বাড়িতেই আছেন।
গবেষণা জানা গেছে, আশেপাশে যদি গাছ থাকে তাহলে মন ভালো হয়ে যায়। তাই কিছু প্ল্যান্টের ব্যবস্থা করে ফেলুন। দেখবেন আপনার কাজের পরিমাণ বেড়েছে, উন্নত হয়েছে কাজের মানও।
একটানা অনেকক্ষণ কাজ করবেন না। তাতে কাজের প্রতি বিরক্তি আসতে পারে। কাজের মাঝে ছোট বিরতি নিন। একটু ঘুরে আসুন, চাইলে অল্পক্ষণ গান শুনে নিন, দু-একজনের সঙ্গে কথা বলুন। তারপর আবার কাজে লেগে পড়ুন।