সারা বিশ্ব যদিও আজ স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটের মর্যাদা বুঝেছে, আমাদের দেশে কিন্তু আখরোট, কিশমিশ, খেজুর, আমন্ড, কাজু বাদাম বরাবরই খাদ্যতালিকার অংশ ছিল। বাদাম আর দুধের শরবত বা হালুয়া-পায়েস-পোলাওয়ের মতো রান্নায় উৎসবের দিনে চারটি শুকনো ফল ছড়ানোর রীতিটা বরাবরই মানা হয় — রোজ খেতে না পারলেও বিশেষ বিশেষ দিনে তা উপভোগ করত সবাই। তার পর হালে জানা গেল যে বিকেলের দিকে ভাজাভুজি না খেয়ে যদি এক মুঠো শুকনো ফল খাওয়া যায়, তা হলে স্বাদ আর স্বাস্থ্য, দুটো দিকই বজায় থাকে। এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি অক্সিডান্ট, মিনারেলস সব কিছু একসঙ্গে পেয়ে যাবেন শুকনো ফলের মধ্যে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অতি ভালো জিনিসও তো বাড়াবাড়ি হলে বিষে পর্যবসিত হয়, ড্রাই ফ্রুটের ক্ষেত্রেই বা নিয়মটা ঠিক কী?
এখানে প্রথমেই একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার, শুকনো ফল মানে কেবল শুকনো ফল। চিনিতে পাক করা যে সব ক্যান্ডিড ফ্রুট বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলি কিন্তু ড্রাই ফ্রুটের পর্যায়ে পড়ে না। একই কথা খাটবে নুন দিয়ে ভাজা বাদামের ক্ষেত্রেও। আমন্ড, আখরোট, পেস্তা, ব্রেজ়িলনাট, হেজ়েলনাটের মতো বাদাম খেতে পারেন। তবে কোনও পরিস্থিতিতেই সংখ্যাটা যেন 4-7-এর বেশি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দিনের শুরুতে খেজুর খাওয়া যায়, খালিপেটে খেজুর খেলে আপনার হজমশক্তিও উন্নত হয় ক্রমশ। বিশেষ করে যদি কোনওদিন উপোস করেন, বা ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করার সুযোগ না থাকে, তা হলে খেজুর খান — এনার্জির ভান্ডারে ঘাটতি পড়বে না। তবে দুটো মাঝারি সাইজ়ের খেজুরই যথেষ্ট, তার চেয়ে বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিশমিশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা সীমাবদ্ধ রাখুন 8-10-এর মধ্যে। কাজুবাদাম খেলে থেমে যান 5 বা 6 নম্বরেই।