ওজন কমাতে কঠিন এক্সারসাইজ করছেন? বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

টার্গেট ওজন কমানো হোক বা সুস্বাস্থ্য, এক্সারসাইজের বিকল্প নেই। নিয়ম করে ব্যায়াম করতে পারলে শরীরের নানারকম সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চিকিৎসকদের কথায় এক্সারসাইজ হল এক ধরনের ওষুধ। কিন্তু ওষুধ কি ইচ্ছমতো কম-বেশি খাওয়া যায়? তেমনটাই নিয়ম ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে। অতিরিক্ত বেশি বা কম এক্সারসাইজ ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। তেমনটাই বলছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত জার্নাল। শারীরিক ভাবে ফিট নন, আপাত থিতু জীবন কাটান, এমন মানুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যায়াম বিপদ ডেকে আনতে পারে। অনেকেই আছেন, যাঁরা জানেনই না তাঁদের হার্টে কোনও সমস্যা আছে! তাঁদের ক্ষেত্রেও বিপদ ডেকে আনতে পারে অতিরিক্ত এক্সারসাইজ। ওই জার্নালে বলা হয়েছে, এখন অনেকেই ম্যারাথনে অংশ নিচ্ছেন, জিমে গিয়ে কঠিন এক্সারসাইজ করছেন। কিন্তু এর উপকার, অপকার দুই-ই আছে। প্রত্যেকের শরীর অনুসারে কসরতের মাত্রাও হতে হবে ভিন্ন। নইলেই বিপত্তি। কমপক্ষে ৩০০টি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কম। তবে যাঁদের হার্টের অসুখ আছে কিংবা কোনও না-ধরা-পড়া সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে হঠাৎ করে এক্সারসাইজ শুরু করা। যদিও সমীক্ষা বলছে, মেয়েদের হৃদরোগের প্রবণতা পুরুষদের থেকে বেশ কম। আপনি যদি এক্সারসাইজ শুরু করতে চান, তাহলে হালকা ব্যায়াম থেকে ভারী এক্সারসাইজের দিকে এগোন। যদি বুকে ব্যথা, হাঁপিয়ে ওঠার মতো সমস্যা শুরু হয়, তাহলে ডাক্তার দেখান অবিলম্বে। অনেকেই বুক চিতিয়ে বলেন, ছোটবেলায় আমি স্কুলে স্পোর্টসে এতোগুলো মেডেল জিতেছি, তাহলে এখন কঠিন এক্সারসাইজ করতে পারব না কেন? না, সেটি ভাবলে হবে না। আপনার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরও বয়স বেড়েছে। তাই সেই ধকল আপনার নাও সইতে পারে। এক্সারসাইজ নতুন করে শুরু করতে চাইলে এগোন ধাপে ধাপে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy