সুন্দর চুল কে না চায়? চুল আঁচড়াতে প্রতিদিনই চিরুনি ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন যুগে পাথর কেটে তৈরি করা হতো চিরুনি। এখন চিরুনি তৈরি হয় নানা উপাদানে। তাই চুলের যত্নে চিরুনি পরিষ্কার করা জরুরি। কারণ চিরুনিতে জমা ব্যাকটেরিয়া, ধুলো, ময়লা, মাথার মরা কোষ— আরও অনেক কিছু। যার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, চিরুনিতে কতটা ময়লা থাকে, তা দেখে বোঝা যায় না। তাই চুল ভালো রাখতে হলে চুল পরিষ্কার করার পাশাপাশি চুল আঁচড়ানোর চিরুনিটিও পরিষ্কার রাখতে হবে।
আমেরিকার চুল এবং মাথার ত্বক সংক্রান্ত তারকা বিশেষজ্ঞ (ট্রাইকোলজিস্ট)ব্রিজেট হিল বলছেন, ‘‘আমরা যখন চুল আঁচড়াই, তখন মাথার ত্বকে থাকা সেবাম সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে মাথার ত্বকে পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় থাকে। চুলের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। কিন্তু একটি ময়লা চিরুনি বা হেয়ারব্রাশ ঠিক তার উল্টোটাই করে। ভালো তো কিছু হয়ই না, উল্টে পরিষ্কার মাথার ত্বককে নোংরা করে দেয়।’’
চুলে অনেকেই নানারকম জিনিসের ব্যবহার করে থাকেন। ড্রাই শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সিরাম বা স্টাইলিংয়ের জিনিসপত্রের অবশিষ্টাংশ থেকে যায় চিরুনিতে। এছাড়া রোজ বাইরে বেরোলে চুলে যে ধুলো পড়ে, তা-ও থেকে যায়। আবার যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে, তাদের মাথার ত্বকের মৃতকোষও লেগে থাকে চিরুনিতে। নিয়মিত পরিষ্কার করলে চিরুনি থেকে সেই সমস্ত জিনিস নতুন করে মাথার ত্বকে আসে না। চুলের পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
কতদিন পর পর চিরুনি পরিষ্কার করা উচিত
হিল বলছেন, প্রত্যেকবার চুল আঁচড়ানোর পরেই চিরুনিতে লেগে থাকা চুল পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। তাছাড়া পাতলা চুল হলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার। মোটা বা ঘন চুল হলে মাসে দুই-তিন বার। কোঁকড়ানো চুল হলে সপ্তাহে একবার চিরুনি পরিষ্কার করা উচিত।
যেভাবে চিরুনি পরিষ্কার করা উচিত
চিরুনি কী দিয়ে তৈরি তার উপর নির্ভর করবে পরিষ্কার কীভাবে করবেন। যদি, সিলিকন, প্লাস্টিক, রাবারের চিরুনি হলে সামান্য গরম জলে শ্যাম্পু অথবা তরল সাবান গুলে তাতে ১০-১৫ মিনিট চিরুনি ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে হাওয়ায় শুকিয়ে নিন। গরম জলে ভিনিগার দিয়েও আধা ঘণ্টা চিরুনি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তারপর একই ভাবে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন।