হলুদ মেশানো দুধ কাদের জন্য ক্ষতিকর জানেন?

উপকারী একটি ভেষজ হলো হলুদ। আর হলুদ মেশানো দুধ বা গোল্ডেন মিল্ককে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের একটি মনে করা হয়। আসলে হলুদে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এগুলো নানা ধরনের অসুখ থেকে বাঁচতে আমাদের সাহায্য করে। সেইসঙ্গে দুধেরও রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। আমাদের প্রতিদিনের পুষ্টির একটি বড় অংশ পাওয়া যায় দুধ থেকে। তবে উপকারী হলুদ মেশানো দুধ সবার জন্য কিন্তু উপকারী নয়। বরং কারও কারও জন্য হতে পারে ক্ষতিকর। কাদের জন্য? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

নিম্ন রক্তচাপ থাকলে

যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তারা হলুদ দুধ পান করা এড়িয়ে চলবেন। কারণ এই পানীয় তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে যে, হলুদ দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক রক্তচাপ আরও কমাতে পারে। যে কারণে নিম্ন রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীরা এই দুধ পান করলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

অ্যালার্জি থাকলে

অনেকের ক্ষেত্রে হলুদ দুধ পান করার ফলে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। এই পানীয় পান করার পর যদি আপনার ফুসকুড়ি, চুলকানি বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় তাহলে এটি বাদ দেওয়াই উত্তম। আর পান করতে চাইলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে নেবেন।

গলব্লাডারে সমস্যা থাকলে

যাদের গলব্লাডার সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য হলুদ মেশানো দুধ উপকারী নয়। এক্ষেত্রে তাদের এই পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ হলুদ পিত্ত উৎপাদন সক্রিয় করে গল ব্লাডারের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের পিত্তজনিত কোনো সমস্যা রয়েছে তারা এই দুধ একেবারেই এড়িয়ে চলবেন।

আয়রনের ঘাটতি থাকলে

অনেকে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য নানা ধরনের খাবার খান। তবে যাদের এই ঘাটতি আছে তারা হলুদ মেশানো দুধ একেবারেই পান করবেন না। কারণ হলুদ দুধে উপস্থিত আয়রন শোষণে বাধা সৃষ্টি করে এবং শরীরে রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে তারা হলুদ মেশানো দুধ এড়িয়ে চলবেন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy