শীত একটু একটু করে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে প্রকৃতিতে। শহুরে দেয়াল ভেদ করে যদিও শীত ততটা আসতে পারেনি, তবে গ্রামের দিকে এখনই জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতি। প্রকৃতির এই পালা বদলে সবচেয়ে মুশকিলে পড়ে আমাদের শরীর। কারণ এত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে সে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। যার ফলে ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে এই সময়ে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
সর্দি-কাশি হলে
তুলসী পাতার সঙ্গে গোল মরিচ খেলে কিছু অসুখ দ্রুত সেরে যায়। তার মধ্যে একটি হলো সর্দি-কাশি। সর্দি-কাশি কিংবা ঘুসঘুসে জ্বর দেখা দিলে তুলসি পাতার সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে খাবেন। এর সঙ্গে মেশাতে হবে দশ গ্রামের মতো আখের চিনি। এতে উপকার পাবেন।
অ্যালার্জি হলে
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শীতের আগমনে প্রকৃতি অত্যন্ত ধূসর হয়ে পড়ে। এসময় বাতাসে ভেসে বেড়ায় ধুলো ও নানা রোগ-জীবাণু। তাই এসময় দূষণ ও ধূলোবালির কারণে কারও কারও অ্যালার্জি হতে পারে। এক্ষেত্রেও তুলসি পাতা ও গোল মরিচ একসঙ্গে খেলে উপকার পাবেন।
গ্যাস ও অ্যাসিডিটি হলে
খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলে গ্যাস কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। সেইসঙ্গে হতে পারে পেট ব্যথাও। আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তবে তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এছাড়া তুলসি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও মিলবে সমাধান।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
আমাদের সুস্থতার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সেজন্য খেতে হবে সহায়ক সব খাবার। তুলসী পাতা এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে। নিয়মিত এই পাতা চিবিয়ে খেলে শক্তিশালী হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তুলসী পাতা ও গোল মরিচ দিয়ে তৈরি ক্বাথ খেলে তা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দেবে।