মানবদেহে ক্যালসিয়ামের একটি অপরিহার্য উপাদান খনিজ। শরীরের হাড় এবং দাঁত শক্তিশালী করতে তুলতে ক্যালসিয়ামের কোনো বিকল্প হয় না। এছাড়া মস্তিষ্ক এবং শরীরের অন্যান্য অংশের মধ্যে সুস্থ যোগাযোগ বজায় রাখতেও ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
পেশীর সংকোচন এবং কার্ডিওভাসকুলার ফাংশনে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এমনকি রক্ত জমাট বাঁধা, স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বজায় রাখা, স্নায়ু আবেগ সঞ্চালন ইত্যাদি কাজেও প্রয়োজন এই অপরিহার্য খনিজটি। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। আর একান্তই যদি ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে এই পানীয়গুলোতে চুমুক দিতে পারেন।
দুধ
ক্যালসিয়ামের অন্যতম সেরা উৎস হল গরুর দুধ। প্রতিদিন গরুর দুধ খেলে হাড় এবং দাঁত শক্ত হয়। তবে যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট, অর্থাৎ দুধ সহ্য হয় না, তারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে গরুর দুধের বদলে আমন্ড মিল্ক, সয়া মিল্ক, ওট মিল্ক খেতে পারেন।
সবুজপাতার স্মুদি
পালং শাকর স্মুদি খান। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। কাঁচা শাক জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে কুচিয়ে নিন। মিক্সিতে জল দিয়ে মিহি বেটে করে স্মুদি বানিয়ে নিন। কাঁচা শাকের স্বাদ ভালো না লাগলে, যে কোনো ফলের সঙ্গে মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিন। স্মুদিতে চিনি না দেওয়াই ভালো।
ডাবের জল
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কিছুটা থাকলেও, ডাবের জলে পটাশিয়াম ও ইলেক্ট্রোলাইটের থাকে। প্রাকৃতিক এই পানীয় অত্যন্ত পুষ্টিকর।
হাড়ের স্যুপ
ডায়েটে চিকেন বা মটনের হাড়ের স্যুপ রাখুন। কিংবা স্যুপ তৈরির সময় তাতে মাংসের হাড় দিয়ে দিন। আবার নুন জলে সেদ্ধ করা হাড়ের ঝোলও খেতে পারেন। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমবে।
তিলের দুধ
তিলের বীজে স্বাভাবিকভাবেই ক্যালসিয়াম বেশি থাকে। আর তিলের বীজের দুধও ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার। দুধ খেতে না ইচ্ছে না হলে তিলের দুধ খান। দাঁত ও হাড় শক্ত হবে।