চলছে হেমন্তকাল, এ সময় দেশের নানা এলাকায় ভোরের দিকে এবং বিকেলে ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে, দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে আসে। কার্তিকের বাতাসে থাকে শীতের আগমনী সুর। রাজধানী ঢাকাতে এখন দিনের বেলা বেশ গরম পড়লেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়ার এমন তারতম্যে এখন ছোট-বড় সবাই কমবেশি সর্দি-কাশি-গলাব্যথায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্লু ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর এজন্য অবশ্যই সঠিক ডায়েট অনুসরণ করতে হবে।
ঠান্ডা ও ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউনিটি ডায়েট বেশ কার্যকরী। এক্ষেত্রে রান্নাঘরের বেশ কিছু ভেষজ উপাদানে ভরসা রাখাব যেতে পারে। তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দুর্দান্ত দুটি ঘরোয়া উপাদান হলো দারুচিনি ও মধু। এই দুই উপাদানে তৈরি চা ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে।
মধুতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এনজাইম যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ করতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসম্পন্নও বটে, যা শরীর থেকে সংক্রমণ ও ক্ষতিকারক কোষগুলোকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। একইভাবে দারুচিনি হালকা অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করতে ও শরীরকে মেরামত করে সহজেই।
একই সঙ্গে মধু ও দারুচিনি অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও শরীরের ক্ষত সারাতে দুর্দান্ত কাজ করে। এছাড়া মধু ও দারুচিনি উভয়ই প্রদাহ বিরোধী, এছাড়া অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করে ও আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্যও একটি দুর্দান্ত সমন্বয়।
দারুচিনি-মধু চা তৈরি করা যায় সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে। সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য এটি সকালে খালি পেটে পান করতে হবে। চায়ের জন্য লাগবে দারুচিনি গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ আর জল ১ কাপ।
চা বানাতে প্রথমে জল ফুটিয়ে তার মধ্যে দারুচিনি গুঁড়া ভালো করে মেশাতে হবে। ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে তারপর একটি মগে ঢেলে এতে মধু মিশিয়ে তা চায়ের মতো পান করতে হবে। সর্দি-কাশিসহ গলাব্যথা সারাতেও দুর্দান্ত কাজ করে এই চা।
ঘরোয়া উপায়েও যদি সর্দি-কাশি না সারে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর দারুচিনি বা মধুর কোনো এক উপকরণেও যদি কারও অ্যালার্জি থাকে, তাহলে এই চা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।