মাটির পাত্রে জল পান করার সুবিধা অনেক। বিশেষ করে মাটির পাত্রে রাখা জল বেশ ঠান্ডা থাকে। ফলে ফ্রিজের জল না হলেও চলে। আর এ জলের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক।
জানলে অবাক হবেন, মাটির পাত্রে বা কলসিতে রাখা জল পান করলে গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে, আবার শরীর থাকে হাইড্রেট।
আরও পড়ুন: তরমুজ খাওয়ার পর জল পান করলে কী হয়?
ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ও লেখক ড. আবরার মুলতানির মতে, এই পাত্রের জল ওষুধের মতো কাজ করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে জলকে বিশুদ্ধ করে।
আপনি যদি পাত্রটি সঠিকভাবে ব্যবহার করেন, তাহলে এটি যে কোনো (আরও) ওয়াটার ফিল্টারের চেয়ে বেশি উপকারী প্রমাণিত হবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়
ডা. আবরার মুলতানি, মাটির কলসির জলকে ওষুধ মনে করেন। কারণ এ জলের প্রকৃতি ক্ষারীয়, অর্থাৎ এটি পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডকে শান্ত করতে সাহায্য করে। এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে
গরমে হিট স্ট্রোক খুবই বিপজ্জনক। এর ফলে জ্বর, বিভ্রান্তি, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পাত্রের জলে কিছু খনিজ পদার্থ থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করে ও হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
হাইড্রেট রাখে
ডা. মুলতানির মতে, শরীরকে হাইড্রেট করার জন্য গরম বা ঠান্ডা জলের প্রয়োজন নেই। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা ঠান্ডা জলই ডিহাইড্রেশন নিরাময় করতে পারে। তাই শরীরকে হাইড্রেট করার জন্য মাটির পাত্রের জল সবচেয়ে ভালো।
আরও পড়ুন: গরমে কত লিটার জল পান করলে সুস্থ থাকবেন?
প্রাকৃতিক ফিল্টার জলের নিশ্চয়তা দেয়
মাটির পাত্রে জল রাখলে তা প্রাকৃতিকভাবে ফিল্টার হয়। পাত্রের ছোট ছোট গর্তগুলোতে ময়লা ও দূষিত কণা ব্লক হয়ে যায়, যা জলকে বিশুদ্ধ করে তোলে। জলের বিশুদ্ধতা বাড়াতে হলে এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে।
মাটির পাত্রে জল সংরক্ষণের সঠিক উপায়
প্রথমে এক মিনিট জল ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর জ্বাল থেকে জল নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর পাত্রের ভেতরে সংরক্ষণ করুন।