পিরিয়ডের সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবেন যেভাবে, জানুন বিস্তারিতভাবে

পিরিয়ডের সময়টা অনেক নারীর জন্যই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে মাসের এই সময় গ্যাসের ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর উপসর্গ নিয়ে আসে। এই সমস্যা মাসিকের সামগ্রিক অস্বস্তিকে আরও তীব্র করতে পারে। আপনি যদি পিরিয়ডের সময় গ্যাসের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে অস্বস্তি কমাতে এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে কিছু কাজ করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. সুষম খাবার খান

আপনি যা খান, পিরিয়ডের সময় তা আপনার শরীরকে প্রভাবিত করে। গ্যাসের ব্যথা উপশম করতে দানাশস্য, তাজা ফল এবং শাক-সবজিতে পূর্ণ সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন কারণ এগুলো পেটে ফাঁপা সৃষ্টি করে এবং আরও গ্যাসের কারণ হতে পারে। ওটস, মটরশুটি এবং গোটা শস্যের মতো উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খান। এগুলো হজম মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রচুর ফাইবার খেতে অভ্যস্ত না হন তবে এই খাবারগুলো ধীরে ধীরে যোগ করুন যাতে শরীর সামঞ্জস্য করার জন্য সময় পায়।

২. হাইড্রেটেড থাকুন

পিরিয়ডের সময় হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ডিহাইড্রেশন পেট ফাঁপা এবং গ্যাসকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রচুর জল পান করলে তা শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিতে সাহায্য করে, যা জল ধরে রাখা এবং পেট ফাঁপার সমস্যা কমায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। পেপারমিন্ট বা আদার মতো ভেষজ চা খেতে পারেন, যা হজমের অস্বস্তি প্রশমিত করতে এবং গ্যাস কমাতে পরিচিত। এছাড়াও চিনিযুক্ত পানীয় এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো ডিহাইড্রেশনে অবদান রাখতে পারে এবং পিরিয়ডের সময় সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৩. হালকা ব্যায়াম করুন

পিরিয়ডের সময় হালকা ব্যায়াম গ্যাসের ব্যথা কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করতে পারে। হাঁটা, যোগব্যায়াম এবং মৃদু স্ট্রেচিংয়ের মতো ক্রিয়াকলাপগুলো হজমকে উদ্দীপিত করতে এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। ব্যায়াম এন্ডোরফিনও মুক্ত করে, যা আপনার মেজাজকে উন্নত করতে পারে এবং মাসিকের সাথে সম্পর্কিত কিছু ব্যথা উপশম করতে পারে। 2013 সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে নিয়মিত ব্যায়াম পিরিয়ডে পেট ফাঁপাসহ পিএমএস-এর উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. হিট থেরাপি

পেটে তাপ প্রয়োগ করা পিরিয়ডের সময় গ্যাসের ব্যথা কমানোর একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় হতে পারে। উষ্ণ স্নান, হিটিং প্যাড বা গরম জলের বোতল আপনার পেশীগুলোকে শিথিল করতে, ক্র্যাম্পিং এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাপ থেরাপি রক্ত ​​​​প্রবাহ বাড়ায়, যা গ্যাসের ব্যথার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy