অবাঞ্ছিত লোম তোলার মাধ্যম হতে পারে একটি ক্রিম। কিন্তু কোনটি আপনার ত্বকের জন্য ভালো, আর কোন উপাদান থাকলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, তা বুঝবেন কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক—
ত্বকের অবাঞ্ছিত রোম দেখতে মোটেই ভালো লাগে না। সেই রোম তোলার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। ওয়্যাক্সিং, রেজারের ব্যবহার ও ক্রিম। ইদানীং লেজারের মাধ্যমেও লোম স্থায়ীভাবে তুলে দেওয়া যায়। তবে এ পদ্ধতি খরচসাপেক্ষ। ওয়্যাক্সিং প্রচলিত হলেও এতে বেশ ব্যথা লাগে। আবার রেজার ব্যবহারে রোমের বৃদ্ধি দ্রুত হয় বলে অনেকে এড়িয়ে চলেন। সে ক্ষেত্রে ক্রিম হতে পারে একটি উপযুক্ত পদ্ধতি।
কীভাবে কাজ করে এটি—
ত্বকের চিকিৎসকরা বলছেন, হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে থাকা উপাদান লোমের প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। এতে থাকে থিওগ্লাইকোলিক অ্যাসিড। যার প্রভাবে লোমকূপ আলগা হয়ে লোম উঠে আসে।
ত্বকচর্চাকারীরা বলছেন, প্যারাবেন, সালফেট, অ্যালকোহল, ফরম্যালডিহাইড জাতীয় উপাদান রয়েছে, এমন কিছু ক্রিম এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এই উপাদানগুলো কোনো কোনো ত্বকে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এতে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া ও প্রদাহের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বুঝে এবং দেশে ক্রিম ব্যবহার করুন।
শুষ্ক ত্বক: এ ধরনের ত্বকের জন্য ক্রিম বাছাইয়ের সময় দেখে নিতে হবে, তাতে ময়শ্চারাইজিংয়ের উপকরণ রয়েছে কিনা। গ্লিসারিন, শিয়া বাটার, নারিকেল তেল— এ ধরনের উপাদান থাকলে সেটি শুষ্ক ত্বকের পক্ষে উপযোগী হবে।
তৈলাক্ত ত্বক: ত্বকে থাকে সিবেসিয়াস গ্রন্থি। তা থেকেই নিঃসৃত হয় সিবাম, যা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। কোনো কারণে সিবাম বেশি নিঃসৃত হলে ত্বক তেল তেলে হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সিবামের উৎপাদন নিয়ন্ত্রক উপাদান রয়েছে— এমন কোনো ক্রিম বেছে নিতে বলছেন ত্বকচর্চাকারীরা। স্যালিসিলিক অ্যাসিড, জিঙ্ক অক্সাইড রয়েছে— এমন ক্রিম এ ক্ষেত্রে ভালো হবে।
সংবেদনশীল ত্বক: প্যারাবেন, সালফেট, অ্যালকোহল— এসব উপাদান থাকা ক্রিম এড়িয়ে চলা ভালো। এর বদলে অ্যালোভেরা, পেঁপের নির্যাস রয়েছে— এমন ক্রিম বেছে নেওয়া যেতে পারে।